লামায় এক কুয়েত প্রবাসীর ঘর থেকে স্ত্রী, দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ও ১০ মাস বয়সী শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামের প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ঘরের তালা ভেঙে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামের মৃত বাচা মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ কুয়েত প্রবাসী। তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০) তিন কন্যা রাফি আক্তার (১৪), আফরিন (১২) ও ১০ মাসের শিশু কন্যা নুরীকে সঙ্গে নিয়ে চাম্পাতলী গ্রামে বসবাস করেন।
নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই মো. খালেক দৈনিক আজাদীকে জানান, তার ভাইয়ের মেঝ মেয়ে আফরিন (১২) পার্শ্ববর্তী আলীকদমে বেড়াতে গেছে। ভাবী মাজেদা বেগম বড় মেয়ে রাফি আক্তার এবং শিশুকন্যা নুরীকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এবং ঘরের বাহির থেকে তালা লাগানো দেখে ভেবেছিলেন তারা বেড়াতে গেছে। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধ্যায় ঘরের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করলে তিনি ভাবীর মৃত দেহ দেখতে পান। সাথে সাথে তিনি পুলিশসহ স্থানীয়দের খবর দেন। খবর পেয়ে লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিজওয়ালুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ, পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম এবং লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ ঘরের লোহার দরজায় বাহির থেকে লাগানো তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন।
লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, ঘরের মধ্যে একজন মাঝ বয়সী মহিলা, ১৩/১৪ বছরের কন্যা এবং ৯/১০ মাস বয়সী একটি শিশুর লাশ রয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা পিবিআইকে খবর দিয়েছি। তারা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ মর্গে পাঠানো হবে। পুরো বাড়িটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই চাম্পাতলী গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন। এ নির্মম ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছে পুরো এলাকাবাসী।