বান্দরবানের লামায় গাছের সাথে মানুষের শত্রুতা! জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ফল ধরা দেড়শ পেপে গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বত্তরা। গতকাল সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী ইব্রাহিম লিডার পাড়ায় ২০ শতক জমিতে রেডলেডি পেপে চাষ করে। দীর্ঘদিন পরিচর্যার পর বাগানের পেপে গাছের সবগুলোতেই কমবেশি ফলন আসে। ফল তোলার সময় আবদুল হাকিম নামের এক প্রান্তিক কৃষকের বাগানের দেড় শতাধিক পেপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিহিংসা মূলক প্রতিবেশীরা বাগানের পেপে গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজন নারীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল হাকিম। অভিযুক্ত আসীমরা হলেন- ইউনিয়নের ইব্রাহিম লিডার পাড়ার বাসিন্দা রুহুল আমিন (২৮), কাজল রেখা (৩২), মো. কাইয়ুম (২৪), এবং রুবি আক্তার (২৮)।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল হাকিম বলেন, অভিযুক্ত আসামীরা চলাচলের পথের পার্শ্ববর্তী ছাবের হোসেন নামের ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ শতক জমি বরগা নিয়ে পেঁপে চাষ করেন। অভিযুক্তদের সাথে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। আমি জমি বরগা নিয়ে চাষ করায় অভিযুক্ত আসামীরা কয়েকদিন আগে আমাকে মারধর এবং ক্ষতি সাধণ করার হুমকি প্রদান করেছিলো। বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত কাজল রেখা বাদী হয়ে আমিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আপোষ মীমাংশা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে অভিযুক্তরা হিংসামূলক আমার বাগানের পেঁপে গাছগুলো কেটে ফেলেছে। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু বিচার এবং ক্ষতিপুরণ দাবি করছি।
তবে অভিযুক্তরা বলেন, কৃষক আবদুল হাকিমের পেঁপে গাছ কাটার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কারা ষড়যন্ত্র মূলক ফলন ধরা গাছগুলো কেটেছে আমরা জানিনা। রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিউল আলম বলেন, গাছের সাথে মানুষের এ কেমন শত্রুতা। মানুষের সাথে মানুষের বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু ফল ধরা গাছ কেটে ফেলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ত্রিদীপ বড়ুয়া বলেন, কৃষক আবদুল হাকিমের লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কেটে ফেলা গাছের ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।