রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠেছে এই কিশোর গ্যাং। এই গ্যাং গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে রাজনৈতিক গডফাদাররা।
রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে তারা বিভিন্ন জায়গায় মারামারি, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং থেকে শুরু করে খুনাখুনি, ধর্ষণ পযন্ত করছে। একেকটি ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। অনেক ঘটনায় জড়িত কিশোররা গ্রেপ্তার হলেও তাদের নেপথ্য মদতদাতারা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। এই কিশোর গ্যাং গুলোতে ধনীর দুলালদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত থেকো নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা গ্যাং করে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা সহ মোটর সাইকেলে করে মহড়া দিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই সব ছেলেদের মধ্যে হিরোজাইম একটা ভাব থাকে। এরা সবসময় এই হিরো হতে গিয়ে সমাজে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত প্রশাসনিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্যোগ নেয়া জরুরি। পুলিশী অভিযান ও টহল জোরদার করার পাশাপাশি সামাজিকভাবে প্রতিরোধ ও সচেতনতা কর্মসূচি থাকলে,একইসঙ্গে পরিবারের অভিভাবকদের ইতিবাচক ভূমিকা থাকলে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে সাফল্য আসবে। আমার বিশ্বাস, সম্মিলিতভাবে চেষ্টা নিলে কিশোর গ্যাং নামক দুষ্ট ক্ষত থেকে সমাজ ও দেশ মুক্ত হবে। সবশেষে বলব, কিশোর গ্যাং কালচাররোধে সরকার এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই সচেতন হতে হবে।
মোহাম্মদ আজাদ হোসেন রানা
পটিয়া, চট্টগ্রাম