লাইলাতুল কদর : অঝোর ধারায় বইছে আল্লাহপাকের করুণাধারা

আ ব ম খোরশিদ আলম খান | বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

২৬ রমজান দিবাগত রাতে সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর। ফজিলতপূর্ণ মহিমান্বিত রাত হচ্ছে লাইলাতুল কদর বা মহিমান্বিত বরকতপূর্ণ রজনী। রমজান মাসে প্রিয় নবীর (.) ওপর অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ কোরআন মজিদ। আর রমজান মাসের কদর ও মর্যাদা কোরআন মজিদ নাজিলের কারণেই। সূরা ক্বদরে আল্লাহ পাক বলেন, ‘ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতিল ক্বাদরি।’ অর্থাৎ ‘আমি কদরের রাতেই নাজিল করেছি কোরআন মজিদ।’ যাতে রয়েছে মানবজাতির চলার পথে অব্যর্থ নির্ভুল নির্দেশনা। কোরআন মজিদের পথ নির্দেশনা হুবহু মেনে চললে এবং এই কদরের রজনীটি তাহাজ্জুদ নামাজ, কিয়ামুল লাইল ইত্যাদি পুণ্যময় আমলের মাধ্যমে অতিবাহিত করলে আল্লাহপাক নিশ্চয়ই খুশি হবেন। বান্দার ওপর অসীম করুণাধারা বয়ে দেবেন এই আশা করা যায়। রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলেছেন প্রিয় নবী (.)। হযরত মা আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে পাক (.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করো।(বুখারি শরিফ,৭ম খণ্ড,১৪৫ পৃষ্ঠা)। বুখারি শরিফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে পাক (.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদতের মধ্য দিয়ে রাত জাগরণ করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ অতীতের সকল পাপের মার্জনার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? আল্লাহ পাক সকলকে গুনাহ মাফের সুযোগ দান করুক। শবে কদরের মহিমান্বিত রাতে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া ইস্তেগফার করুন। প্রিয় নবীজী (.)-কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে থাকি তখন কী দোয়া পড়বো? নবীজী (.) বললেন, বিশেষ করে বলবে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘তুমি বলবে ইয়া আল্লাহ, আপনি তো অত্যন্ত ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে আপনি ভালোবাসেন, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। (তিরমিজি, আস্‌ সুনান,হাদিস নং ৩৫১৩, হাসান সহিহ)। লাইলাতুল কদরের রাতটিতে নানামুখী ইবাদত বন্দেগি দ্বারা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধান উপদেষ্টা চীন যাচ্ছেন আজ
পরবর্তী নিবন্ধমহান স্বাধীনতা দিবস আজ