‘বেশি কিছু চেষ্টা না করে’ই বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানা সফল হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে। তাঁর ভাষায়, ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দেওয়া। সঠিক লাইনে বল রাখা। ব্যাটসম্যান আর পরিস্থিতি বুঝে বল করা। ব্যস, এটিই নাহিদ রানার সাফল্যের রেসিপি! বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার বলেন, এই পরিকল্পনাতে সফল হয়েই তিনি স্বাদ পেয়েছেন ৫ উইকেটের। নাহিদ অবশ্য তার তূণের সবচেয়ে ধারাল অস্ত্রের কথাই বলেননি– গতি! তবে গতি তার সহজাত। এই কারণেই আলাদা করে তা বলতে হয়নি তার। উচ্চতার কারণে বাড়তি বাউন্সও তিনি আদায় করতে পারেন। জ্যামাইকা টেস্টে গতি ও বাউন্সে নাকাল করেই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ে ছোবল দিয়েছেন তিনি পাঁচ দফায়। ছয় ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার নিজেকে রাঙিয়েছেন পাঁচ উইকেটে। তার সৌজন্যেই ১৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। বল হাতে ২২ গজে নাহিদ যতটা ভয়ঙ্কর, মাইক্রোফোন–ক্যামেরার সামনে তিনি ততটাই লাজুক ও ম্রিয়মান। প্রতিক্রিয়া প্রকাশে খুব স্বতস্ফূর্ত নন এখনও। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিনের খেলা শেষে ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার জানালেন, তার পরিকল্পনা ছিল একদমই সাধারণ। ‘প্রথমত ওপরওয়ালার শুকরিয়া আদায় করতে চাই, প্রথমবার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। বেশি কিছু চেষ্টা করিনি। শুধু চেষ্টা করেছি, ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দিয়ে কীভাবে ‘লাইন টু লাইন’ বোলিং করা যায় এবং কোন পরিস্থিতিতে কোন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করা যায়, সেই বোলিংটা করার চেষ্টা করেছি। এই উইকেটে বেশি কিছু চেষ্টা না করে শুধু ‘লাইন টু লাইন’ বোলিং করে ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দিয়ে রান ছাড়া বোলিং করলে ব্যাটসম্যানরা অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি, বোলারদের অত কিছু চেষ্টা না করে ‘লাইন টু লাইন’ বোলিং করাই ভালো।’ আপাত সাধারণ এই পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারলে তা কতটা কার্যকর হতে পারে, প্রমাণ হয়েছে এ দিনই। নাহিদের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৫ উইকেট বাকি রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ২১১ রানে। নাহিদের বিশ্বাস, শেষ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো কিছু তারা করতে পারবেন। ‘অবশ্যই আমরা এখন একটা ভালো জায়গায় আছি। এখান থেকে আমরা যদি আড়াইশর ওপরে যেতে পারি চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করা কঠিন হবে ব্যাটসম্যানদের জন্য। উইকেট একটু অন্যরকমের, অসম বাউন্স থাকবে, স্পিনে টার্ন থাকবে। কাজেই আমরা চতুর্থ দিনে ভালো কিছু একটা বের করব।’