লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে এমএমডির পূর্বানুমতির সিদ্ধান্ত আদালতে স্থগিত

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে পণ্য পরিবহনে লাইটারেজ জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের (এমএমডি) প্রিন্সিপ্যাল অফিসারের পূর্বানুমতি নেয়ার ব্যাপারটি আদালত স্থগিত ঘোষণা করেছেন। একই সাথে এই নির্দেশনাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের ব্যাপারে ডব্লিউটিসি এবং আইভোয়াকের বিরোধের মাঝে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকের নির্দেশনার আলোকে ডব্লিউটিসি কিংবা আইভোয়াক নয়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সব ধরণের লাইটারেজ জাহাজ চলাচলের সিরিয়াল মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপ্যাল অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রদান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সিরিয়াল থেকে লাইটারেজ জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে সব ধরণের জাহাজকেই পণ্য বোঝাইয়ের আগে প্রিন্সিপ্যাল অফিসারের দফতর থেকে পূর্বানুমতি নেয়ার একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সম্প্রতি জারিকৃত উক্ত সার্কুলারের ব্যাপারে মেসার্স আর জে শিপিং লাইন্স নামের একটি কোম্পানি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে। নম্বর ১৩০/২০২৪।

উক্ত রিট পিটিশনের ব্যাপারে হাইকোর্টে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাদীর পক্ষে রিটের শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম ও ব্যারিস্টার সামিউল হক।

এই ব্যাপারে ব্যারিস্টার সামিউল হক গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন ‘লাইটার জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের আগে পূর্বানুমতি দেয়ার ব্যাপারে প্রিন্সিপাল অফিসার, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের কোন এখতিয়ার নেই। বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের শুল্কায়ন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের পণ্য বোঝাইয়ের অনুমতির পরে আর কোন অনুমতি নেওয়ার কোন বিধান নেই, এই দুই কর্তৃপক্ষ হচ্ছে মূল কর্তৃপক্ষ।

বন্দর সীমানার মধ্যে যেকোনো ধরনের চুরি অথবা জলদস্যুতা রোধে বাংলাদেশ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চুরি অথবা জলদস্যুতা রোধে যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কোস্টগার্ড নিবে। পিও, এম এম ডির এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নেয়ার কোন এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার সামিউল হক বলেন, আমরা বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছি। আদালত সবকিছু শুনে এই সার্কুলারকে স্থগিত করেছেন এবং উক্ত সার্কুলারকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেছেন। আমরা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম। আদালতের এই আদেশের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের আগে কোন লাইটারের জাহাজকে পিও, এম এম ডি থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদায়ের আগে আবার আসবে শীত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের ৩৬ নেত্রী নিলেন মনোনয়ন ফরম