সর্বশেষ ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। সেবার গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে একমাত্র ম্যাচ আয়োজিত হয়। দু’দিনের সেই ক্রিকেট ম্যাচকে বেসরকারি টেস্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইসিসি। এরপর কেটে গেছে ১২৮ বছর। এ সময়ের মধ্যে বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটকে এড়িয়ে গেছে অলিম্পিক। অবশেষে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ফের ক্রিকেট আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৮ সালের ১৪ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিকে ক্রিকেট নিয়ে এতদিন বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। অবশেষে গত বুধবার ক্রিকেট নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন এ অলিম্পিকে পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে ৬টি করে দল অংশ নিতে পারবে। খেলা হবে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে ৬টি দল সর্বোচ্চ ১৫ জনের স্কোয়াড নিয়ে যেতে পারবে। অর্থাৎ আগামী আসরে মোট ৯০ জন পুরুষ ক্রিকেটার অংশ নেবে। নারী ক্রিকেটেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে এই ৬ দলের বাছাই প্রক্রিয়া কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ঠাসা শিডিউলের কারণে আলাদা করে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) যদি দলগুলোকে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইসিসি র্যাংকিংকেই যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
যদি সেটিই হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব়্যাংকিংয়ে দ্রুত উন্নতি করতে হবে দলগুলোকে। তবে বাংলাদেশের জন্য র্যাংকিংয়ের সেরা ছয়ে জায়গা করে মোটেও সহজ হবে না। সেক্ষেত্রে ১২৮ বছর অপেক্ষার পরও আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ হারাতে পারে বাংলাদেশ। অলিম্পিকের মতো বড় আসরে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা বাড়বে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাসকিন আহমেদদের। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলো বাদ যেতে পারে। বর্তমান আইসিসি টি–টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পুরুষদের ক্যাটাগরিতে এক নম্বর দল ভারত। মেয়েদের বিভাগে তিনে আছে দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ পুরুষ দলের অবস্থান নয় নম্বরে। লাল–সবুজ জার্সিধারী মেয়েদের অবস্থানও একই।
পুরুষদের টি–টোয়েন্টির বর্তমান র্যাংকিং ১. ভারত– ২৬৯ রেটিং পয়েন্ট। ২. অস্ট্রেলিয়া– ২৫৯ রেটিং পয়েন্ট। ৩. ইংল্যান্ড– ২৫৪ রেটিং পয়েন্ট। ৪. নিউজিল্যান্ড– ২৪৮ রেটিং পয়েন্ট। ৫. ওয়েস্ট ইন্ডিজ– ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট। ৬. দক্ষিণ আফ্রিকা– ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট। ৭. পাকিস্তান– ২৩৫ রেটিং পয়েন্ট। ৮. শ্রীলঙ্কা– ২৩২ রেটিং পয়েন্ট। ৯. বাংলাদেশ– ২২৯ রেটিং পয়েন্ট। ১০. আফগানিস্তান– ২২২ রেটিং পয়েন্ট।