১২টি কারখানা ভেঙে গেলেও বাকি কারখানাগুলোতে হরদম লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চলছে পটিয়ার ইন্দ্রপোলে। এখানে ৪০টি কারখানায় দৈনিক ৫০ টনেরও বেশি লবণ প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে সরবরাহ দেয়া হয়। দেশের এক তৃতীয়াংশ লবণ এই পটিয়ার মিলগুলো থেকে সরবরাহ দেয়া হয়ে থাকে।
সূত্র জানিয়েছে, পটিয়ার ইন্দ্রপোল লবণ কারখানার জন্য বিখ্যাত। একসময় বেশি থাকলেও বর্তমানে ৪০টি কারখানা রয়েছে ইন্দ্রপোলে। এরমধ্যে ১২টি কারখানা রাস্তা বড় করার সময় ভাঙা পড়েছে। বর্তমানে ২৮টি কারখানায় উৎপাদন চলছে। বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের টেকনাফ, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালীর লবণ মাঠ থেকে তুলে আনা লবণ সড়ক ও নৌপথে নিয়ে আসা হয় এসব কারখানায়। এখানে মাঠের লবণগুলো প্রক্রিয়াজাত করা হয়। মেশানো হয় আয়োডিন। পরবর্তীতে এসব লবণ দেশের নানা অঞ্চলে সরবরাহ দেয়া হয়। মাঠ থেকে বস্তা ভর্তি (প্রতিবস্তা ৭৫ কেজি) লবণ কেনার পাশাপাশি লোড–আনলোড খরচ, ক্রাশিং খরচ, আয়োডিন খরচ যোগ করে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকতে হিমশিম খাচ্ছেন এখানকার মিল মালিকেরা। বিশেষ করে নৌকার ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরিবহন ব্যয় অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। একসময় ৫/৭ হাজার টন লবণ বোঝাই নৌকা অনায়াসে ইন্দ্রপোলে ভিড়তে পারলেও এখন ১ থেকে দেড় হাজার টনের বেশি লবণ বোঝাই নৌকা ভিড়তে পারে না। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেশি ড্রাফটের বড় নৌকা এখানে চলাচল করতে পারে না বলে স্থানীয় মিল মালিকেরা জানান। তারা জঙ্গলখাইন কেরিঞ্জা, মুরলী ঘাট থেকে ইন্দ্রপোল খাল ড্রেজিং করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পটিয়া ইন্দ্রপোল লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি এবং সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ ভর মৌসুমে মিলগুলোতে দশ হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করে বলে জানান।