লটারি কিং ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ চাঁদা দাতা

| মঙ্গলবার , ১৯ মার্চ, ২০২৪ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতের লটারি কিং তার কোম্পানিকে নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ চাঁদা দাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। নির্বাচনী বন্ড নামের একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা চাঁদা দিয়েছে তাদের সবার উপরে আছেন তিনি। সদ্য বাতিল করা প্রক্রিয়ায় লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিনের সংস্থা গেমিং এন্ড হোটেল সার্ভিসেস ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদা দিতে ব্যয় করেছে ১৩৬৮ কোটি ভারতীয় রুপি। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চাঁদা দাতার তুলনায় তারা ৪০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। খবর বিডিনিউজের।

২০১৭ সালে সরকারি উদ্যোগে চালু হওয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দাতার পরিচয় ও অর্থের পরিমাণ গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা কোম্পানি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক বন্ড কিনে সেটি পছন্দমতো দলকে দিতে পারতেন। আর রাজনৈতিক দলটি তখন বন্ড ব্যাংকে জমা দিয়ে নগদ অর্থ তুলে নিতে পারতো।

এই প্রক্রিয়া ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোকে বেনামে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতা ও যে দলগুলো সেসব বন্ড পেয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সেই তালিকাতেই শীর্ষ চাঁদা দাতা হিসেবে সান্তিয়াগো মার্টিন ও তার কোম্পানির নাম এসেছে। তবে কোন দাতা কোন দলকে চাঁদা দিয়েছে তথ্যে তার বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি। শুধু কোন দাতা কতো অর্থ চাঁদা দিয়েছে আর কোনো দল কতো পেয়েছে সেসব তথ্য সামনে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি চাঁদা গ্রহণকারী দল।

রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও এ প্রক্রিয়ায় দেওয়া চাঁদাকে অবৈধ বলেনি। প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ চাঁদা দিয়ে মার্টিন (৫৯) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যিনি তরুণ বয়স থেকে লটারি টিকেট বিক্রি করতে করতে লটারি থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেটের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরুশ নির্বাচনে নাভালনির কবরে ভোট দিলেন সমর্থকরা
পরবর্তী নিবন্ধ‘হামাসের কাছে যুদ্ধে হেরে গেছে ইসরায়েল’