অক্টোবরের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকাল মঙ্গলবার রাতের বুলেটিনে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৪ অক্টোবর ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালী খাল নদীর পানি সমতল ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কঙবাজার জেলায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। যার ফলে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
ডিসেম্বরের মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিন থেকে ছয়টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে দু’টি নিম্নচাপ। মঙ্গলবার এক দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই তিন মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ৩–৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১–২টি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।