লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শঙ্কা দাম নিয়ে

ফটিকছড়ির রাবার বাগান

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে রাবার রপ্তানি হচ্ছে বিশ্ববাজারেও। বাংলাদেশের রাবার শিল্পে ব্যাপক অবদান রাখছে ফটিকছড়ি উপজেলার সরকারি ৪টি রাবার বাগান। তবে বাগানগুলো গতবছরের মত এবারও শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার সম্ভাবনা থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। ফটিকছড়ির সরকারি ৪টি রাবারবাগান দাঁতমারা, কাঞ্চননগর, রাঙ্গামাটিয়া ও তাঁরাখো ছাড়াও বেসরকারি ১০০১৫০ একর বেসরকারি রাবার বাগান রয়েছে। এসব বাগান প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলেও দামের দিক দিয়ে তেমন লাভবান হতে পারছে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান রাবার কিনে তারা সরকারি ২৫% ভ্যাটের জন্য দেশীয় রাবার না নিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করে। কারণ বিদেশ থেকে আমদানির জন্য ভ্যাট লাগে না। এছাড়াও প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিকভাবে রাবার বাজারজাত করা যাচ্ছে না বলে দাম কম পাচ্ছে দেশীয় রাবার শিল্প। রাবার বাগানগুলোর দেয়া তথ্যমতে, ২০১২১৩ সালে কেজিতে ৩০০ টাকা যে রাবার বিক্রি হয়েছে তা বর্তমানে ১৫৫১৬০ টাকা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দাম না বেড়ে বরং এ সময়ের মধ্যে অর্ধেক দামে নেমে এসেছে রাবার শিল্প। কারণ দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান রাবার ক্রয় করে তারা নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে। আবার তাদের কাছেই টেন্ডারের মাধ্যমে কম মূল্যে হলেও সে রাবার বিক্রি করতে হচ্ছে।

গত বছর ফটিকছড়ির সরকারি রাবার বাগানগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ২৮০০ মেট্রিক টন। তখন শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলেও অল্প লাভবান হওয়া গেছে। ২০২৩২৪ অর্থবছরে ৪টি রাবার বাগানে ১৬২৩ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করছেন বাগানগুলোর ব্যবস্থাপকরা। তবে নানা কারণে দাম নিয়ে রয়েছে শঙ্কায়।

এ ব্যাপারে কাঞ্চননগর রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আমানুল্লাহ আমান বলেন, ফটিকছড়ির ৪টি রাবার বাগান গতবারের মত এ অর্থবছরেও নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করি। তবে বিভিন্ন কারণে আমরা দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমার বাগানে প্রায় ২০০ একর পরিত্যক্ত জায়গা নতুন করে বাগান করছি, যা আগামি ৬ বছর পর প্রোডাকশনে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে অপর ট্রাকের ধাক্কা, হেলপার নিহত
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে পাঁচ দালাল গ্রেপ্তার