করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে লকডাউন দেয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর ছিল না।এটা সত্য যে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে প্রথম আঘাত খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষদের উপর এসেছে।রুদ্ধ হয়ে যায় তাদের আয়ের পথ।এমনিতেই গত একবছরে সাধারণ মানুষের আয় রোজগার এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে,তাতে দিনমজুর ছাড়াও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরাও এখন করোনা ভাইরাসের চেয়ে লকডাউনকে বেশি ভয় পায়।গত বছরের দীর্ঘ লকডাউনে অনেকে জীবিকা হারিয়েছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেককে পরিবার পরিজন নিয়ে শহরের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমাতে হয়েছিল।করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন দেয়া হলেও দিনমজুর ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাহায্য সহযোগিতার বিষয়টি এখনও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো,গতবারের সাধারণ ছুটিতে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তা অধিকাংশ মানুষ পায়নি।তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দিনমজুর ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর কথা ভেবে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর গণেরসার্বিক তত্ত্বাবধানে দরিদ্রদের তালিকা তৈরি করে আর্থিক সহায়তা প্রদানে জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে আসা।