র‌্যাব যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার সৃষ্টি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| শনিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব সৃষ্টি করেছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, র‌্যাব সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তারা এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কিভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারোগেশন। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেনজীর আহমদ এবং র‌্যাবের বর্তমান ছয় কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ধারবাহিকতায় র‌্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়।
কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্বীকার করেছে র‌্যাবের কারণে আমাদের এখানে সন্ত্রাসবাদ কমেছে। বিদেশিরা একতরফা তথ্য পেয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে বলেন, সব দেশেই ল অ্যান্ড ফোর্সিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল। এখন খুব কম হচ্ছে। তার পরও যখন এমন মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়ালি তদন্ত হয়।
মন্ত্রী র‌্যাবের প্রশংসা করে বলেন, র‌্যাব বাংলাদেশে নিজেদের কাজকর্মের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেছে। তারা খুবই ইফেক্টিভ। ভেরি এফিশিয়েন্ট। তারা দুর্নীতিগ্রস্তও নয়। এ কারণেই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। তাদের কারণে আমাদের দেশের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিজানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র‌্যাবের কারণেই। তিনি বলেন, কিছু লোক যারা আইন-শৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে, কিংবা ড্রাগ পছন্দ করে, তারাই র‌্যাবকে পছন্দ না করে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে।
মন্ত্রী এ সময় র‌্যাবের দোষ-ত্রুটি নিয়েও কথা বলেন, আমাদের দেশে দুটি ক্ষেত্রে র‌্যাব অন্যায় করেছিল। সেই ঘটনার জুডিশিয়াল বিচার হচ্ছে। ওদের শাস্তিও হচ্ছে। র‌্যাবের যদি রুলস অব এনগেজমেন্টে কোনো দুর্বলতা থাকে, কোনো উইকনেস থাকে, এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান্ট রাইট ভায়ালেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে ট্রেনিং দেওয়াব। কিন্তু কোনো ব্যক্তিবিশেষের উপর হঠাৎ করে এই যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা ন্যায়সঙ্গত নয়।
যারা র‌্যাবের বিরুদ্ধে নালিশ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আসেন, দেখেন। লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। আসল ঘটনা উদ্ধার করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেন। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জানাব। হয়ত এখনও ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ তারা একতরফা তথ্য পেয়েছে।
মন্ত্রী সুনামগঞ্জের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জিল্লুর রহমান নামে এক শিক্ষানুরাগীর সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইয়াবার পথ ধরেই আসছে ভয়ঙ্কর ক্রিস্টাল মেথ
পরবর্তী নিবন্ধএক বন্ধু নিহত, অন্যজন হাসপাতালে