র‌্যাব পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ মার্চ, ২০২৩ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

র‌্যাব পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান মিজানুর রহমানকে (২৫) আটক করেছে র‌্যাব। গত শনিবার রাত পৌনে ৮টায় নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মিজানুর রহমান বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার আজাদীকে বলেন, আটক মিজানুর দীর্ঘদিন পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে মূল্যবান জামানত টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ইত্যাদি আত্মসাত করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। তার মোবাইলে একটি টিকটক একাউন্ট রয়েছে। যেটিতে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর পোষাক সাদৃশ্য কাপড় পরা ছবি রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার আরও জানান, ৫ মাস পূর্বে মিজানুরের সঙ্গে নাজমুলের (ছদ্মনাম) পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর মিজানুরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। মিজানুর দুবাই থেকে আসার সময় নাজমুল তার পরিবারের জন্য একটি ল্যাপটপ, একটি আইফোন, দুটি স্বর্ণের বার, ৩০০ গ্রাম জুয়েলারি পাঠান। যার আনুমানিক মূল্য ২২ লাখ সাড়ে ৪৭ হাজার টাকা। কিন্তু মিজান জিনিসগুলো তার পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি। দুবাই থেকে তিনি মিজানের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মিজানের বাবামা বলেন, তার ছেলে কেন এই ধরনের কাজ করবে, সে তো র‌্যাবে চাকরি করে। তিনি বিষয়টি তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে জানান।

তিনি আরও বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে এসে মিজানুরকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে গতকাল ৩ মার্চ নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় মিজানকে দেখেতে পান। এরপর তিনি তার আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে মিজানুরের কাছে গিয়ে জিনিসগুলোর কথা জানতে চাইলে মিজান নিজেকে র‌্যাবের পরিচয় দেয়। পকেট থেকে আইডি কার্ড ও কোমড় থেকে একটি খেলনার পিস্তল বের করে বলেন, আমার কাছে মালামাল চাইলে তোমাকে জানে মেরে ফেলব। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি র‌্যাবকে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার রাত পৌনে ৮টায় নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদশককালের আলোচনা শেষে ঐতিহাসিক সমুদ্র চুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধ৪২ ইঞ্চির বর-কনে!