র‌্যানসামওয়্যার হামলাকে সন্ত্রাসবাদের চেয়ে খাটো করে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র

| শনিবার , ৫ জুন, ২০২১ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার পর সন্ত্রাসী তৎপরতার মতো গুরুত্ব দিয়ে এবিষয়ে জোরালো তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে। র‌্যানসামওয়্যার নিয়ে ওয়াশিংটনের টাস্কফোর্সের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে পাওয়া সব তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে তদন্তে সমন্বয় রাখার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অ্যাটর্নিদের দপ্তরে নির্দেশনা পাঠানো হয়। বিচার বিভাগের প্রিন্সিপাল অ্যাসোসিয়েট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জন কার্লিন বলেন, দেশের যেখানেই ঘটুক না কেনো সবগুলো র‌্যানসামওয়্যার হামলার ঘটনা অনুসরণ করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করার এটা একটা বিশেষায়িত প্রক্রিয়া, যাতে আপনি কাজগুলোর পেছনের ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কাজের যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং পুরো শৃঙ্খলটিতে ব্যাঘাত ঘটাতে কাজ করতে পারেন।
হোয়াইট হাউজের ভাষায় রাশিয়া থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন সাইবার অপরাধ চক্র গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সরবরাহকারী কলোনিয়াল পাইপলাইনে র‌্যানসামওয়্যার হামলা করে। এতে কয়েক দিনের জন্য দেশটির পূর্ব উপকূলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৪৪ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে আবার কার্যক্রম স্বাভাবিক করে প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের জারি করা নির্দেশনায় উদাহরণ হিসেবে কলোনিয়াল পাইপলাইনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, বিচার বিভাগের এই নির্দেশনা থেকে বোঝা যাচ্ছে বিষয়টিকে কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। কার্লিন বলেন, এর আগে সন্ত্রাসী হুমকি ও হামলা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করেছি আমরা। তবে র‌্যানসামওয়্যারের জন্য এমন পদক্ষেপ আগে নেওয়া হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতিটি সাধারণত একটি সংক্ষিপ্ত তালিকার বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সংরক্ষিত, যার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। বাস্তবক্ষেত্রে নতুন এই নির্দেশনার অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নিদের কার্যালয়গুলো যত ধরনের র‌্যানসামওয়্যার হামলার ঘটনার তদন্ত দেখভাল করবে তার সবগুলোই ওয়াশিংটনের নেতাদের জানাতে হবে এবং এসব মামলার হালনাগাদ তথ্য ও সক্রিয় কারিগরি তথ্যউপাত্ত তাদের অবহিত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বড় আকারের সাইবার অপরাধের ইকোসিস্টেমের ওপর তদন্তের বিষয়েও মনোযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে অ্যাটর্নিদের কার্যালয়গুলোকে। কাউন্টার অ্যান্টি-ভাইরাস সার্ভিস, অস্বচ্ছ অনলাইন ফোরাম বা মার্কেটপ্লেস, ক্রিপ্টাকারেন্সি লেনদেন, বুলেটপ্রুফ হোস্টিং সেবা, বটনেট ও অনলাইন মুদ্রাপাচার সেবা জড়িত রয়েছে এমন মামলাগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রকে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। সাবেক ইউএস অ্যাটর্নি এবং সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ মার্ক ক্যালিফানো বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের এই অগ্রাধিকার বিচার বিভাগকে আরও কার্যকরভাবে সম্পদ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিতে এবং সাইবার হামরাকারীদের সাধারণ লক্ষ্য চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচীনে রেললাইন মেরামতের সময় শ্রমিকদের উপর ট্রেন, নিহত ৯
পরবর্তী নিবন্ধঅননুমোদিত টিকা কিনছে ভারত