বায়েজিদের রৌফাবাদ কলোনি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে কিশোর ইমতিয়াজুল হক ওরফে পনি (১৭) হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মো. কালুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মো. কালু রৌফাবাদ কলোনি এলাকার শমসের আলীর ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম ঘটনার ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
আদালতসূত্র জানায়, ভিকটিম ইমতিয়াজুল হক ওরফে পনি রৌফাবাদ উত্তর গেটে থাকা ইউনুছের সিএনজি গ্যারেজে কাজ করতো। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে রৌফাবাদ সমাজসেবা রোডের কবরস্থান গলির ভেতর বন্ধুদের সাথে সে ক্রিকেট খেলছিল। একই সময় কিছুটা দূরে আসামি কালু মারবেল খেলছিল। একটা পর্যায়ে হঠাৎ ক্রিকেটের বলটি কালুর গায়ে গিয়ে পড়লে সে তা কুড়িয়ে নিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানের সীমানা দেয়ালের ভেতর ফেলে দেয়। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়ি চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে ভিকটিম বন্ধুদের সাথে একটা দোকানে গল্প করার সময় সেখানে এসে হাজির হয় কালু এবং সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তর্ক শুরু করে। যা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। একপর্যায়ে পকেটে থাকা ছুরি বের করে ইমতিয়াজুল হক ওরফে পনিরের বুকে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন ইমতিয়াজের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ কালুকে আসামিকে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামি কালুর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করা হয়।