রোহিঙ্গা সহায়তা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তা, বলছে ইমেইল

| রবিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি গুটিয়ে আনার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা সঙ্কটজর্জরিত লেবানন ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের।

১৬ ফেব্রুয়ারি লেখা একই ইমেইলে ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক পিটার মারক্কো মার্কিন সাহায্যের জন্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও লেবাননের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার প্রকাশও দেখতে চেয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইমেইলটির সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে। মারক্কো ওই ইমেইলে ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক ব্যুরোর প্রধান টিম মেইজবার্গারকে একটি অ্যাকশন মেমোর খসড়া করতে বলেছিলেন, যার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও লেবাননের মার্কিন সাহায্যের ওপর অস্বাভাবিক নির্ভরতার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নজর কাড়া যায়। এতে (খসড়ায়) অবিলম্বে আমরা কী কী সুপারিশ পাঠাতে পারি তার রূপরেখার মাধ্যমে এই সংকেত থাকবে যে আমাদের সহানুভূতি থাকলেও ৫ নভেম্বর লোকজন সতর্কবার্তা পেয়েছে, এবং এ কারণে অনেককিছুই বদলে যাবে, গত বছরের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনকে উল্লেখ করে বলেন ইউএসএআইডির এ কর্মকর্তা। এই নির্ভরতা কমানোর সর্বোত্তম পদ্ধতি ও সময়সীমা এবং তাদের কিংবা অন্যান্য অংশীদারদের কাছ থেকে আমরা কী চাইতে পারি, তা প্রস্তাব করুন। আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, ইমেইলে এমনটাই লিখেছেন তিনি।

বিষয়টির সম্বন্ধে অবগত একটি সূত্র মারক্কোর এই ইমেইলের সত্যতা এবং ইউএসএআইডির এ কর্মকর্তা যে রোহিঙ্গা ও লেবাননের সহায়তা ধীরে ধীরে তুলে নিতে চেয়েছিলেন তা নিশ্চিত করেছে। এদের আরও সাহায্য প্রয়োজন আছে বলে মারক্কো বিশ্বাস করেন না, বলেছে সূত্রটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইমেইলটির প্রেরক ও প্রাপক, মারক্কো ও মেইজবার্গারের কাছে মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দিক থেকে সাড়া পায়নি রয়টার্স। মারক্কো যে মেমোটি বানাতে বলেছিলেন, মেইজবার্গ সেটি রুবিওকে পাঠিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

লেবানন ও ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে এখন কী পরিমাণ মার্কিন সহায়তা যাচ্ছে, রয়টার্স তাও বের করতে পারেনি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তীব্র দমনপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো শরণার্থী শিবিরেই দিন কাটাচ্ছে। এ শরণার্থীদের ৯৫ শতাংশ এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, বলছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেলুচিস্তানে জিম্মি ঘটনায় ভারতকে দুষল পাকিস্তানের আইএসপিআর
পরবর্তী নিবন্ধ‘৪১ দেশের’ ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ভাবনা ট্রাম্প প্রশাসনের