উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গত মাসে ১৭২ জন রোহিঙ্গা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন পুলিশ। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অক্টোবরে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে মাদক, আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন, উখিয়াস্থ ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাইমুল হক। তিনি বলেন, মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর হতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে মাদক ব্যবসা, চোরাচালানের সাথে জড়িত, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরো ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত আরসার নাম ভাঙিয়ে ক্যাম্পগুলোতে চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ প্রভৃতি অপরাধে জড়িত ১১৪ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযানে মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৩ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। তিনি আরো বলেন, উক্ত অভিযানে ১১ হাজার ২৯৪ পিস ইয়াবা, ৪০ গ্রাম গাঁজা, ৪ টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২ রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি, ১৪ টি রামদা, ৫টি লোহার হাসয়া, ১টি কিরিজ, ১২টি দা, ৩টি লম্বা আকৃতির ধামা, ১টি ছোরা ও একটি রড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ৬০০ কেজি চাল, ৮৯ লিটার তেলসহ বেশ কিছু পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত ৫টি মামলা, ডাকাতি প্রস্তুতির ৫টি মামলা, ১৩টি মাদক মামলাসহ ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়। তাছাড়া মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন অপরাধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো ৫৯টি মামলা করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ৫৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্ত বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা চাই সাধারণ রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক। তথাকথিত দুর্বৃত্ত গ্রুপের নাম করে কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেয়া হবে না। আমাদের দেশে অন্য দেশের দুর্বৃত্তদের স্থান নেই।
