উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম কাজ করে দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
১৪ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল জানান, হঠাৎ ক্যাম্প–৫ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তদন্ত চলছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা। তবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরিত একটি ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী আরসার সদস্যরা’ এই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ক্যাম্পে অরাজকতা সৃষ্টি করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। তারা ক্যাম্পে মানুষ হত্যার পাশাপাশি আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে রোহিঙ্গারা জানান। উক্ত ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কমিউনিটির প্রধান নেতা হামিদ উল্লাহ বলেন, রাত ১টার দিকে আরসা সন্ত্রাসীরা ৫ নম্বর ক্যাম্পে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসে এ সংক্রান্ত এক জরুরি মিটিং হয়। সভা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শনিবারের রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮৪১টি রোহিঙ্গার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ওই ক্যাম্পর এ,বি,সি ও ডি ব্লকের ৭৪৮ টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
পাশাপাশি ৮টি মসজিদ, ১৫ লার্নিং সেন্টার, সিএফএস সেন্টার, মক্তব, ল্যাট্রিন, গোসলখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছৌদ দোহার সভাপতিত্বে সভায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।