মিয়ানমারে যুদ্ধের মধ্যে সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রলিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাককে দেখতে গতকাল মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। এর প্রভাব পড়ছে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশেও। ওপারে রাত–দিন গোলাগুলি চলায় এপারে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। মিয়ানমার থেকে আসা মর্টার শেলে সোমবার দুজনের প্রাণ গেছে।
আরাকান আর্মির কাছে পর্যুদস্ত হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর আড়াই শতাধিক সদস্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
পুলিশ সীমান্ত এলাকায় কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে যারা আমাদের দেশে এসেছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করছে। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন সকলে মিলে সরকারের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য প্রস্তুত আছে দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের জন্য।
সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় কাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল আইজিপিকে। উত্তরে তিনি বলেন, কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো সুনিশ্চিত না। এ ঘটনায় আমরা একটা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি অজ্ঞাতনামা। তদন্তে যাদের নাম আসবে পরবর্তীতে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের জন্য কী নির্দেশনা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক অবস্থায় আছে। সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যে সহযোগিতা চাচ্ছে, আমরা সেই সহযোগিতা দিচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।