কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুটি বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে গুলিবিদ্ধদর উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে তিনজন কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উখিয়া উপজেলার ২০-এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-২ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন— একই এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে সামসুল আলম (৪৫), তার ছেলে আলাউদ্দিন (১২) এবং মেয়ে মর্জিনা (১৩) ও মরিয়ম (১০)।বাকীদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের বরাতে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-২ ব্লকের বাসিন্দা জনৈকা হাসিনা বেগমের বসত ঘরে ৮/১০ জনের অজ্ঞাত একদল ডাকাত প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিন্মি করে ৭০ হাজার টাকা লুট করে। এরপর তার বোন সাজেদা বেগমের পার্শ্ববর্তী বসত ঘরে প্রবেশ করে ৮৬ হাজার লুট করে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশীরা সামসুল আলমসহ অন্যরা এগিয়ে এসে ডাকাতদলকে আটকানোর চেষ্টা করে।
এতে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে ৭ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।