রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই বাথরুমে মা-মেয়ের মরদেহ

টেকনাফে নিখোঁজের ৯ দিন পর মিললো তরুণের লাশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বাথরুম থেকে মামেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেনউখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত রশিদ আহম্মদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে সুবাইদা বিবি (১৮)। এপিবিএন জানায়, মঙ্গলবার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ৭৫ ব্লকে মামেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।

এদিকে নিখোঁজের ৯ দিন পর টেকনাফের নয়াপাড়া মুছনী রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদ শরীফ (১৭) নামে এক তরুণের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত মোহাম্মদ শরীফ ক্যাম্পের ব্লক বি এর বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. সিরাজ আমিন জানান, ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে নুরুল হক ও রবিউল আলম ফজরের নামাজ আদায়ে ঘুম থেকে উঠে। এ সময় তারা তাদের মা ও বোনের কক্ষে বাল্ব জ্বালানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ওই কক্ষে উঁকি দিয়ে তাদের দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে শেডের পাশে একটি বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ জাগে। পরে পাশের আরেকটি বাথরুম থেকে উঁকি দিয়ে মা ও বোনকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মামেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোছাইন বলেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

অন্যদিকে স্বজনদের বরাত দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফে মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মুহাম্মদ শরীফ ৯ দিন আগে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে স্বজনেরা বিভিন্নভাবে খোঁজ করেও সন্ধান পাননি। আজ (গতকাল) তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। কারো সঙ্গে শরীফের পূর্ব শত্রুতা ছিল বলে জানা নেই পরিবারের সদস্যদের। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি
পরবর্তী নিবন্ধখেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০