নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী নদীর কয়লার ডিপো এলাকায় ফিশিং বোট থেকে ১৫ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় রোহিঙ্গাসহ ১১ জনকে ১৫ করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কানু রাম শর্মা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ জুন মিয়ানমার থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে চট্টগ্রামের দিকে ইয়াবার বড় চালান আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের অভিযানের মুখে পড়ে ফিশিং বোটসহ কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রবেশ করে উক্ত চালান। একপর্যায়ে ফিশিং বোট আটক করে সেখান থেকে ১৫ লাখ ফিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় বোট মালিকসহ ১৫ জনকে। তারা হলেন, নজির আহম্মেদ, মো. হাশেম, মো. ছাদেক, খায়রুল আমিন, মো. জাফর, মো. খোকন, মো. ইসমাইল, আনিসুর রহমান, আবদুল খালেক, সাদ্দাম হোসেন, নুর আলম ও মো. সেলিম প্রকাশ মলয়। তারা সকলেই কক্সবাজারের মহেশখালী, লামা এবং শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।
আদালতসূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকী ১১ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র আরো জানায়, মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় র্যাব–৭ এর পক্ষ থেকে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ১২ আসামির বিরুদ্ধে একই বছরের ৩১ অক্টোবর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।