রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করেও কাজ হচ্ছে না, তাদের অনেকেই ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে দেশে ইয়াবা আনছে, খুনোখুনিও করছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকের সামনে আসেন তিনি। রোহিঙ্গাদের এমন কার্যকলাপ ‘অস্বাভাবিক’ নয় বলে মনে করেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করবে। নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকাও ‘মুখ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
রোহিঙ্গাদের মাদক কারবারে জড়িত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন মিয়ানমারের ইয়াবা নামক মরণনেশা দেশে আনছে। তাদের আমরা এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ফাঁকফোঁকর দিয়ে তারা বাইরে যাচ্ছে। নিজেরা খুনাখুনি করছে।
এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পে সক্রিয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন থাকলে তা আরও চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বারবার তাদের দেশে ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সব মহলে বলে আসছেন।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসকদের কী বলেছেন জানতে চাইলে কামাল বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচনের সময় যা প্রয়োজন তা তারা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করবেন।
নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রণালয়গুলো কিছু রুটিন ওয়ার্ক করবে জানিয়ে তিনি বলেন, মূল দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কাছেই ন্যস্ত থাকবে বিজিবি পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশবাসী চাচ্ছেন। সারাবিশ্ব সেইভাবেই তাকিয়ে আছেন।
আমরা বলেছি সেই নির্বাচনে আপনাদের (ডিসি) ভূমিকা মুখ্য হবে, যাতে করে জাতিকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেও জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। বড় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে মহড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এ পরিস্থিতি অনেক দিনের। এখানে অনেক দল, উপদল কাজ করে।
আর্মির তত্ত্বাবধানে ছিল এই তিন জেলা। প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি করেছিলেন। চুক্তি করার পরও কয়েকটি গোষ্ঠী অস্ত্র জমা কিংবা আত্মসমর্পণ না করে মাঝেমধ্যে অতর্কিত চলে আসছে। এর সঙ্গে সারাদেশে জঙ্গি উত্থানের সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে।