চারিত্রিক সনদপত্র থেকে প্রশংসাপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থেকে বিয়ের কাবিন সবই পাওয়া যায় তাদের কাছে। নির্দিষ্ট অংকের অর্থের বিনিময়ে তারা এ সকল সনদ সরবরাহ করে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের কাছে।
নগরীতে এ ধরনের জালিয়াতির সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্রের নারীসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গত সোমবার দুপুরে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন। র্যাব গ্রেপ্তারকৃতদের কাউন্টার টেরোরিজমের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন আরেফিন নগর এলাকার জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা গলির একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলো নগরীর আরেফিন নগরের মৃত আব্দুল হানিফের সন্তান আব্দুর রহিম (৫৯), একই এলাকার মাহবুব আলমের সন্তান আজিজুল করিম রাসেল (৩৫) ও আজিজুল করিম রাসেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (২৮)।
র্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা বলেছে, অর্থের বিনিময়ে তারা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিত। এছাড়া তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। তাদের কাছ থেকে ৩টি নকল জাতীয় পরিচয়পত্র, ৫টি নকল নিকাহনামা, ১৫টি নকল জন্মসনদ, ১৫টি সিটি কর্পোরেশনের খালি সনদপত্র, ১০টি নকল প্রত্যয়নপত্র, ১৪টি বিভিন্ন ধরনের ভুয়া সনদপত্র, নকল টিকাকার্ড ১৫টি, নকল নাগরিক সনদপত্রের ফটোকপি ১৫টি, সিটি কর্পোরেশেনের একটি নকল সিল, আটটি প্রশংসাপত্র এবং ২৫টি জন্মনিবন্ধনের আবেদন উদ্ধার করা হয়।