আগের দিন লিগের প্রথম ম্যাচেই দারুন সুচনা করেছিল চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে রোমাঞ্চকর এক জয় দিয়ে শুভ সুচনা করল গতবারের রানার্সআপ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৮ রানে হারিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। ব্যাট হাতে মেহেদী হাসানের দারুন হাফ সেঞ্চুরির পর বল হাতে রিফাতের ঘুর্নি জাদুতে এই রোমাঞ্চকর জয় পায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত আসরে কোনমতে রেলিগেশন বাঁচানো মোহামেডান এবারেও শুরুটা করল হার দিয়ে। যদিও ম্যাচের লাগাম এক সময় তাদের হাতেই ছিল। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেনি তারা।
সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে জসিম এবং মেহেদী মিলে ৩৯ রান যোগ করে। ২৮ রান করা মেহেদী ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। এরপর রুদ্র এবং মেহেদী মিলে ৭৬ রানের আরেকটি জুটি গড়ে। কিন্তু ৩৫ রান করা রুদ্র ফিরতেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়তে থাকে বন্দর দলের ব্যাটিং। মেহেদী ফিরেন ৭৪ বলে ৫১ রান করে। মাঝখানে হঠাৎ ব্যাটিং ধ্বস নামায় শেষ পর্যন্ত ১৮৫ রানে অল আউট হয় বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া্ সংস্থা। দলের পক্ষে শেষ দিকে নিশাদ ১৬ এবং তন্ময় করেন ১২ রান। মোহামেডানের পক্ষে ৪০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম জনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শামীম এবং জসিম।
১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন সাব্বির এবং জিসান। ৩২ রান করা জিসান ফিরলে বাঙ্গে এজুটি। তৃতীয় উইকেটে সাব্বির এবং আরমান উল্রা যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল সহজে জয় পেয়ে যাবে মোহামেডান। কিন্তু এজুটি ভাঙ্গর পর ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যায়। আরমান উল্লাহ ফিরেন ৩৭ রান করে। পরের বলে শামীম মিয়া সহ দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। দলকে ১৪৯ রানে রেখে ফিরেন সাব্বির। তার আগে ১১৯ বলে ৬৪ রান করে আসেন এই ব্যাটার। কিন্তু পরের ব্যাটাররা পারেননি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে। ফলে ১৬৭ রানে অল আউট হয় মোহামেডান। দলের শেষ সাত ব্যাটারের কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। বল হাতে বন্দর কৃর্তপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন রিশাদ। ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেণ তিনি। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান। আজ লিগের তৃতীয় ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং ফ্রেন্ডস ক্লাব পরষ্পরের মোকাবেলা করবে।