করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় নগরে আবারও শুরু হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। ইতোমধ্যে সংস্থাটির পাঁচটি হাসপাতাল ও দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩০০ ভায়াল করে ফাইজারের টিকা মজুদ করা হয়েছে। প্রতি ভায়ালে রয়েছে ছয় ডোজ টিকা। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে শুরুতে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও প্রসূতিদের কেবল টিকা দেয়া হবে। আগ্রহীরা সংশ্লিষ্ট সাত কেন্দ্র থেকে টিকা দিতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, গত রোববার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আমাদের সাতটি সেন্টারে টিকা এনে মজুদ করেছি। বয়স্ক এবং প্রসূতিরা এখান থেকে টিকা দিতে পারবেন।
সাতটি সেন্টার কোনগুলো জানতে চাইলে মেয়র বলেন, সেন্টারগুলো হচ্ছে– সিটি কর্পোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতাল, বন্দরটিলা সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতাল, ছাফা মোতালেব সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতাল, পাঁচলাইশ বিবিরহাট সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন আজাদীকে বলেন, টিকা চলে আসছে। কিছু প্রস্তুতি আছে, ওগুলো শেষ করে রোববার থেকে টিকা দিতে পারব। ডব্লিউএইচও’র গাইডলাইন মেনে টিকা দিতে হবে। তারা বলেছে ষাটোর্ধ্বদের দিতে।
এ কর্মকর্তা বলেন, টিকা নিতে আগ্রহীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন বা আগের করোনা টিকা দেওয়ার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা খাতায় টিকাগ্রহীতার নাম, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বার, এনআইডি নাম্বার ইত্যাদি লিখে রাখবো। পরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে চট্টগ্রামে ৬৭ হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা আসে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সংরক্ষণাগারে এগুলো রাখা হয়। বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে ৩০০ করে ডোজ পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেখানে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও সাড়া মিলছে না।