পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে গুঞ্জনের যেন কোনো শেষ নেই। শেষ নেই বিতর্কিত খবরেরও। সবশেষ সুইজারল্যান্ড ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা না পেয়ে তিনি ‘বিরক্ত’, ‘অসন্তুষ্ট’ এবং এর প্রেক্ষিতে দল ছেড়ে যাওয়ার হুমকিও নাকি দেন। অবশ্য এসবই ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগাল। এবার দলটির কোচ ফের্নান্দো সান্তোস সব পরিষ্কার করলেন। তিনি বলেন ম্যাচের আগেই রোনালদোর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ হয়েছিল। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার তাকে বদলি নামানোর সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন বলে জানালেন সান্তোস। ম্যাচের দিন লাঞ্চের পর আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং আমাকে অফিসে তাকে আসতে বলেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই রোনালদো খুব খুশি ছিল না। কারণ সবসময় সে শুরুর একাদশের খেলোয়াড়। সে আমাকে বলল, আপনি কি মনে করেন এটা ভালো সিদ্ধান্ত? আমাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হয়েছিল। আমি আমার ভাবনা তাকে বিস্তারিত বলি এবং অবশ্যই সে মেনে নেয়। আমাদের মধ্যে খুব খোলামেলা এবং স্বাভাবিক আলোচনা হয়েছিল। রোনালদোকে ঘিরে চলমান নানা বিতর্কের এই পর্বের শুরু মূলত গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ২–১ গোলে হারের ম্যাচে ৬৫ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ। তখন বিড়বিড় করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় তাকে। ক্যামেরায় যতটুকু ধরা পড়ে তাতে মনে হয় রোনালদো বলছিলেন আমাকে তুলে নেওয়ার জন্য যেন অস্থির হয়ে গেছে। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠলে সান্তোস সরাসরি বলেন, রোনালদোর অমন প্রতিক্রিয়া ভালো লাগেনি তারা। অবশ্য একই সঙ্গে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে তিনি অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিষয়টি সেখানেই শেষ। এরপরই সুইজারল্যান্ড ম্যাচের শুরুর একাদশ থেকে রোনালদোকে বাদ দেওয়ার খবর আসে। পরদিন আবার কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয় নিয়ম ভেঙে দলীয় অনুশীলনে যোগ দেননি তিনি। বিশ্বকাপের মাঝপথে দল ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বৃহস্পতিবার ইউরোপের অনেক সংবাদমাধ্যমে আসে খবরটি। এরপরই পর্তুগালের ফুটবল ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে এসব খবর মিথ্যা বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।