রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগংয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস এম জমির উদ্দিনের নেতৃত্ব উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডা. মাঈনুল ইসলাম মাহমুদ।
শনিবার (২৮ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর জিন্নুরাইন কনভেনশন সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগংয়ের ১১ তম চার্টার ও ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ক্লাব সভাপতি রোটারিয়ান এস এম জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন রোটারিয়ান আহমেদ ঈসমাইল। পরবর্তীতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। রোটারি প্রত্যেয় পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটারিয়ান মোঃ ইকরাম পাশা। চার্টার ও ফ্যামিলি নাইটে চট্টগ্রামের বেশীর ভাগ ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও রোটারিয়ানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের ডিন রোটারিয়ান প্রফেসর ড. তৈয়ব চৌধুরী। তিনি বলেন, এই ক্লাবের নেতৃত্ব ও কর্মকাণ্ড স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগংয়ের সকল সদস্যসহ তিন ক্যাটাগরির তথা এক্সিলেন্ট, বেস্ট ও গেসিয়াস ক্রেস্ট দিয়ে রোটায়িনদের সম্মামনা দেওয়া হয়। ১১ তম চার্টার ও ফ্যামিলি নাইটের কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি দায়িত্ব এবং হিসাব বুঝিয়ে দেন নতুন সভাপতি সৈয়দা কামরুন নাহার সুমিকে।
এসময় বক্তারা বলেন, রোটারিয়ানরা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে এই ক্লাবের সূচনা হয়। দীর্ঘ ১১ বছর রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগং বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছে।
পূর্বতম কার্যসভার অনুমোদন দেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট এস এম জমির উদ্দিন, প্রজেক্ট সংক্রান্ত বর্ণনা দেন রোটারিয়ান মো. বেলাল, কমিটির চেয়ার রিপোর্ট দেন রোটারিয়ান এমদাদুল আজিজ, রোটারি সচেতনতামূল বক্তব্য দেন রোটারিয়ান আজিজুল গনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ক্লাব প্রেসিডেন্ট এস এম জমির উদ্দিন বোর্ড মেম্বার ও সকল প্রজেক্ট স্পন্সরদের এবং সকল সহযোগী সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রোটারিয়ান মানেই সমাজ বির্নিমানে নীরব সৈনিক। শুধুমাত্র একটি বছর শেষ হওয়ার ক্ষণ নয়ই। এটি একটি আবেগ, একটি প্রতিজ্ঞা, একটি যাত্রার পূর্ণতা। ২০২৪-২৫ রোটারি বর্ষে, আমরা শুধু প্রজেক্ট নিয়ে সীমাবদ্ব ছিলাম না। আমরা আশা বুনেছি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, হাজেনিক টয়লেট নির্মাণ। স্কলারশিপপদের শিক্ষাবৃত্তি টাকা প্রদান, শীতকালীন দরিদ্রদের কম্বল বিতরণ। ভিন্ন ভিন্ন এলাকা জুড়ে ছাতা বিতরণ, বন্যা কবলিত নিরাশ্রয় হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছি। শুধু চট্টগ্রাম শহরে নয়- ফটিকছড়ি, বায়েজিদ, সিলেট, রুপগঞ্জ এমনিক রাজধানী ঢাকায়ও রোটারির আলো পৌঁছে দিয়েছি। এই রোটরি বর্ষ ছিল- বন্ধুতের এক উজ্জল প্রদীপ। আর মানুষের জন্য ভালোবাসার নিঃশব্দ বিপ্লব। রোটারি আমাকে শুধু নেতৃত্ব দেয়ার দিয়া শিখায়নি, বরং কিভাবে মানুষের অন্তরে সেবার মাধ্যমে মানুষ অন্তরে জায়গা করে নিতে হয় তাও শিখেয়েছে। সামনে নতুন বর্ষ, নতুন নেতৃত্ব, আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই ও সাফল্য কামনা করছি।রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগং এগিয়ে যাক আরও দীপ্ত সাহসে, হৃদয়ে হৃদয়ে আলোয় আলোয়। ক্লাবের নিবেদিত প্রাণ বোর্ড মেম্বারদের বিশেষ কৃতজ্ঞা জানিয়েছে বক্তব্য শেষ করেন প্রেসিডেন্ট।
রিপসা টিমের প্রতিনিধি মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম, সিনিয়র রোটারিয়ান আকবর হোসাইনসহ চট্টগ্রামের বেশীরভাগ রোটারিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। ক্লাব সেক্রেটারি রোটারিয়ান ড. আয়েশা আফরিন এবং ক্লাব সভাপতি ইলেক্ট এর পরিচালনায় আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
