জীবনের কাছে হিসেব চেয়েছি রোজ
শতশত যেন কী পাওয়ার ছিল কথা
ছিল না শুধু সময়টুকুর যত্ন
জীবন তো সেই মহাশূন্যে গাঁথা।
দিনরাত করে জাহাজ ভিড়েছে কত
ছলে আর বলে ফাঁকিটাই ছিল বেশি
চাপাকলের ঐ মুঠোভর্তি জলে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যেত বেলা গড়িয়ে সে হাসি।
লাঙল যদিও হৃদয়ের ক্ষেতে সজোর
সুফলের আশায় তবু রয়ে যায় ছেদ
গোধূলিতে সব আশ্লেষে হয় লয়
অপেক্ষা শেষে বাকিটাই ছিল বিভেদ।
আমি আর আমি অজানার বাড়াবাড়ি
চিনতে চাই না কোন আশ্চর্য বদল,
নোঙরের কাছে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ
সায়াহ্নে এসে আদিম নিখুঁত আদল।
প্রকৃতির এই দিনমান জুড়ে খেলা
সময় ঘুরেছে বুকে কাঁটা নিয়ে যন্ত্রে,
মৌসুমী সুখ ফুটেছিল যেই বাগানে
উদয়ের সুর বেজেছিল সেই প্রান্তে।
সময়ের কাঁটা বিশ্বাস গেঁথে বুকে
টিকটিকটিক হামেশাই বেজে যায়
বিষাদের কাছে অবাধ্য বাহুবল
অস্ত রবি উদয়ের অপেক্ষায়।
সুখ দুঃখের উষ্ণতা চেপে বুকে
পাহাড় পাথর ক্ষয়ে দিয়ে যায় রোজ
মৃত্যুর কাছে দিয়ে যায় এক সুধা
বুকপকেটে ওই জীবনের খোঁজ।