রোজায় দাম বাড়িয়ে কিছু ব্যবসায়ী সৌদি চলে যান : শিল্পমন্ত্রী

বরই-খেজুর বিতর্ক মিডিয়ার তৈরি

| সোমবার , ১১ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

রোজা এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কিছু ব্যবসায়ী পরিবার নিয়ে সৌদি আরব চলে যান বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন। তার ভাষ্যে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রমজান এলে ব্যবসায়ীরা মানুষকে সাহায্য করেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা মানুষকে দান করেন। ক্রিসমাসের মতো (উৎসবে) সব পণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে এর উল্টো। আমাদের দেশে আমরা এই ট্রেন্ড দেখছি না ব্যবসায়ীদের মাঝে। অনেক বড় ব্যবসায়ী আছেন, তারা চান যত বেশি লাভ করা যায়। এমন ব্যবসায়ীও আছেন, দামটাম বাড়াইয়া সৌদি আরব গিয়া বইসা থাকেন। ঈদের সময় তাদের পাওয়া যায় না, ফ্যামিলি নিয়া ওইখানেই থাকেন। রোজায় নিত্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের নেওয়া বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরতে গতকাল তেজগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। আমরা যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। আমরা ব্যবসায়ী ফ্রেন্ডলি, কিন্তু যারা এখানে অন্য ধরনের গেইম খেলতে চায়, প্রতারণা করতে চায় এবং যারা ভেজাল করতে চায় তাদের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। খবর বিডিনিউজের।

এদিকে রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে গত ৪ মার্চ শিল্পমন্ত্রী বলেছিলেন, অভাবঅভিযোগ তো আছেই। আমরা সবকিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ না। বাইরে থেকে অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। সেগুলো আপনাদেরকে বুঝতে হবে। বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন? আঙুর লাগবে কেন, আপেল লাগবে কেন? আমাদের দেশে আর কিছু নাই? পেয়ারা দেন না, প্লেটটা ওইভাবে সাজান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন যে, ইফতার পার্টি দরকার নেই। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। আপনার সংসার যেমন আপনি দেখেন, আপনারা সাংবাদিকরা দেশটারেও এভাবে দেখেন। খালি আকাশ থেকে দেইখেন না। নিচের থেকে আশপাশে দেখেন। এ বক্তব্যের বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টির ভিন্ন ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি আগেও বলেছি, মিসইন্টারপ্রেট করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। আমি বিস্তারিত বলেছি এবং অনেকের অনেক জায়গায় জ্বালা আছে। সেই জ্বালা থেকে তারা হয়তো ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে। ওই কষ্ট তো আমরা লাঘব করতে পারব না। জনগণই বিচার করবে, আমরা কোনো উত্তর দিতে চাচ্ছি না। তারা পাগল হয়ে গেছে। আমি খেজুরের পরিবর্তে বলিনি, মাইন্ড ইট; আমি বলেছি খেজুরের সঙ্গে, খেজুরের সাথে, ইফতারের প্লেটটা আমাদের দেশীয় ফল দিয়ে সাজান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করা একটা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। আমাদের লোকজন খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করে। সরকার খেজুরের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে।

শিল্পমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এর পরদিন ক্ষোভ ঝাড়েন জাসদের সভাপতি হাসানুল ইনু। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিল্পমন্ত্রী বলেন, উনি আমার বড় ভাই, উনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। উনি এটা মিসইন্টারপ্রেটেড হয়ে করেছেন কিনা জানি না। উনার যে রাজনৈতিক লেভেল, তাতে ওই ধরনের কথা বলার কথা না। আমি বিশ্বাস করি না এটা, আমার মনে হয় এগুলো মিডিয়ার তৈরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৮
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের ইন্তেকাল