রেল দুর্ঘটনার পর তদন্ত হলেও সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা কেউ জানতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। মীরসরাইয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের মৃত্যুর পর গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন তিনি। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের বলেন, দেশের রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ। সারাবিশ্বে রেলপথে যাতায়াত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হলেও বাংলাদেশে যেন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পঞ্চাশ বছরে দেশের রেলপথ নিরাপদ হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা ক্রসিংয়ে ঢাকা থেকে আসা আন্তঃনগর ট্রেন মহানগর প্রভাতী এঙপ্রেসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ তরুণের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, দেশের প্রায় ৮২ ভাগ রেলক্রসিং অরক্ষিত। এই সকল অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে নেই পাহারাদার ও কোনো প্রতিবন্ধক। আবার ১৮ ভাগ রেল ক্রসিংয়ে পাহারাদার ও প্রতিবন্ধক থাকলেও সেখানেও অবহেলার অন্ত নেই। তাই প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রতিবছর প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের। রেল বিভাগের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও, তদন্ত প্রতিবেদন জানতে পারে না দেশের মানুষ। দুর্ঘটনা রোধে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও জানতে পারে না কেউ।
রেলপথ নিরাপদ করতে জরুরি উদ্যোগ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, রেলপথে মৃত্যুর মিছিল মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক যুগে রেলপথের দুর্ঘটনাগুলো প্রমাণ করে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি। দেশের রেলপথ নিরাপদ করতে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।