টেন্ডারের শর্ত ও ক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করে নিম্নমানের ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ কেনার মাধ্যমে সরকারের ৩২৩ কোটি টাকার ক্ষতি এবং ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে রেলের তিন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল বৃহস্পতিবার সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা–১ এ মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান। খবর বিডিনিউজের।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন– বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান; সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী এবং সাবেক এডিজি (ডেভেলপমেন্ট) মোহাম্মদ হাসান মনসুর।
মামলার এজাহারে দুদক বলেছে, ১০টি এমজি ডিজেল–ইলেকট্রিক লোকোমোটিভের ইঞ্জিন কেনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ঠিকাদার কোম্পানির মধ্যে ৩২২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকার চুক্তি হয়। ২০১৮ সালের ২৩ মে এলসি খোলা হয় এবং ৬ জুলাই চুক্তিপত্র কার্যকর করা হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, লোকোমোটিভের প্রতিটি কম্পোনেন্ট সংযোজিত হয়েছে কি–না তা প্রকল্প পরিচালককে জানাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অধপিএসআই সার্টিফিকেট দিয়ে মালামাল জাহাজীকরণ ও খালাস সম্পন্ন করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী যন্ত্রাংশ ও চুক্তি অনুযায়ী ক্রয় না করে প্রতারণামূলকভাবে অন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হয়। তাতে আসামিরা নিজে লাভবান হন এবং অন্যকেও অবৈধভাবে লাভবান করে।