রেলের জায়গায় দোকান, ভাড়া দিচ্ছেন রেল কর্মকর্তা

বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

এবার রেল কর্মকর্তারাই দিন দুপুরে কদমতলী চৌরাস্তার মুখে রেলের জায়গা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন। কোরবানি ঈদের বন্ধে রাতারাতি রেলের স্টাফ কোয়ার্টারের পাশ ঘেঁষে ৬টি পাকা দোকান নির্মাণ করেছে। চারদিকে পাকা ওয়াল, উপরে টিনশেড। গ্রিল লাগানোর সকল প্রক্রিয়া শেষ। পেছনে স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। দোকানগুলো একেবারে রাস্তাসহ দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে। রেলের সিআরবি দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্মতিতে উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এই দোকানগুলো নির্মাণ করেছেন বলে রেলওয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারী জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কদমতলী চৌরাস্তার মুখে ফোর স্টার সিন্ডিকেট সিএনজি রিফুলিং স্টেশনের পাশ ঘেঁষে রেলের জায়গায় ৬টি পাকা দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।

এই দোকানগুলোর পেছনে রেলের স্টাফ কোয়াটারের বাউন্ডারি ওয়াল রয়েছে। স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। দোকানগুলোতে এখনো গ্রিল লাগানো হয়নি তবে গ্রিল লাগানোর সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ফোর স্টার সিন্ডিকেট সিএনজি কর্মচারীরা জানান, এই দোকানের সাথে আমাদের সিএনজি স্টেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। ঈদের বন্ধে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা এই দোকানগুলো নির্মাণ করেছেন। ঈদের বন্ধের আগে ওই জায়গাটা খোলা ছিল; কোনো দোকান ছিল না। ঈদের ১০ দিনের বন্ধে নগরী যখন একেবারে ফাঁকা ছিল তখন রাতারাতি রেলের ওই কর্মকর্তা দোকানগুলো নির্মাণ করেন।

গতকাল রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে কেউ মুখ খুলতে চাননি। সিআরবির এক দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যখন রেলের কর্মকর্তা এগুলো করে (রেলের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ) তখন আমরা কী করতে পারি বলেন? আর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনি এই ব্যাপারে জানতে হলে জিএম স্যার এবং চিফ স্যারকে ফোন দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিতর্কিত তিন নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
পরবর্তী নিবন্ধকবি নেই, তার কবিতা ঘুরছে ইরানের দেয়ালে দেয়ালে