রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগের ক্যারেজ ডিপোর কর্মচারী মো. রুবেল মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিজ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া শুক্রবার রাতে ট্রানজিট ইয়ার্ডে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ও স্ক্র্যাপ চুরি করতে গোপনে
সেখানে গিয়েছিলেন বলে ধারণা ওই দপ্তরের কর্মকর্তাদের। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, এর আগেও তেল চুরির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
রেলওয়ে যান্ত্রিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ইন্সপেক্টর) মাসুদ আলম ভূঁইয়া জানান, রুবেল মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে তিনি রয়েছেন।
রেলওয়ের বিভাগীয় যান্ত্রিক বিভাগ থেকে জানা গেছে, রুবেল মিয়াকে ২০২৩ সালেও তেল চুরির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। জানা গেছে, রাতের আঁধারে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে যাওয়ার ঘটনা প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। রুবেল মিয়া ক্যারেজ ফিটার পদে সিজিপিওয়াই ওয়াগন ডিপোতে কর্মরত ছিলেন। পদ্মা অয়েল কোম্পানির দায়িত্ব পালনকালে কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন না। এতে ট্যাংক লোডিং সিস্টেমে বিঘ্ন ঘটত। প্রায় সময় তেল চুরি করতেন। মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও শোনেননি। ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর তেল পাচার করার সময় তা জব্দ করে পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে বোতলে তেল নিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে লোড করার সময় দেখতে পান পদ্মা অয়েল কোম্পানির অপারেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ। তিনি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ওইদিন রুবেল মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তাকে চট্টগ্রাম ক্যারেজ ডিপোতে পদায়ন করা হয়। সেখানে পদায়নের পর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে যাতায়াত করছেন।
গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এছাড়া এক নারী সহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে রুবেলের বিরুদ্ধে। ওই নারী সহকর্মী ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন রুবেলের বিরুদ্ধে।