রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড়

দ্বিগুণ যাত্রীতে টিকিট না পেয়ে বিপাকে মানুষ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও ছিল পরিবহন ধর্মঘট। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে কিছু হালকা যান চললেও দূরপাল্লার বাসসহ সকল গণপরিবহন ছিল একেবারেই বন্ধ। সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ছিল ট্রেন। তাই প্রতিটি ট্রেনে গতকাল যাত্রীসংখ্যা ছিল দ্বিগুণ। আগে যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে পারলেও গতকাল হঠাৎ করে যারা টিকিটের জন্য স্টেশনে গিয়েছেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়।
গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং প্রতিটি ট্রেনে যাত্রীতে ভরপুর ছিল বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী।
এদিকে পরিবহন সংকটে নগরীতে সাধারণ মানুষের জনদুর্ভোগ বেড়েছে। সকাল থেকে নগরীতে কিছু টেম্পু-লেগুনা-মেক্সিমা-রাইডার চলতে চাইলেও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিক নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে চলতে দেয়নি।
শহরের ভেতরে সিএনজি এবং রিকশা দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে চললেও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে গেছেন। এদিকে হঠাৎ করে রেলস্টেশনে অধিক যাত্রীর চাপে স্টেশন ম্যানেজারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, দূরপাল্লার বাসসহ সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর প্রভাব পড়েছে। রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য ছিল যাত্রীদের সীমাহীন ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টিকিটের জন্য যাত্রীরা অস্থির করে তুলছে। যাত্রীদের কারণে অফিসে বসতে পারছি না। সকালে সুবর্ণ এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিটি ট্রেনে যাত্রী পরিপূর্ণ ছিল। আমরা কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট দিইনি। তবে কেউ টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে গেলে টিটিই তখন স্ট্যান্ডিং টিকিট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস মালিক-শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতেলের দামের অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পরীক্ষা দিতে পারেননি ২৭ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী