উচ্চ ঝুঁকির জীবাণু সংক্রমণ সংক্রান্ত রোগ নিরূপণের সুবিধার্থে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো রেফারেল ল্যাব চালু করতে যাচ্ছে এপিক হেলথ কেয়ার। এই ল্যাব চালু হলে সার্স ভাইরাস, মলিকুলার বায়োলজি (পিসিআর) এবং মাইক্রোবায়োলজি কালচার পরীক্ষার মতো সবধরনের উচ্চ ঝুঁকির জীবাণু সংক্রমণ সংক্রান্ত রোগ নির্ণয় হবে চট্টগ্রামেই। আর ঢাকায় কিংবা বিদেশে ছোটাছুটি করার প্রয়োজন পড়বে না।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে রোগ নির্ণয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এপিক হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ৮ম বর্ষে পদার্পণে প্রতিষ্ঠানটির সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এপিক হেলথ কেয়ারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) টি এম হান্নান। তিনি বলেন, অনেক টেস্ট রয়েছে, যা চট্টগ্রামের কোথাও হয় না। ঢাকা বা বিদেশে পাঠিয়ে এই টেস্ট করাতে হয়। এ ধরনের টেস্টও হয় কম সংখ্যায়। মেশিনের দাম অনেক বেশি।
ফলে টেস্টের খরচও বেশি হয়ে থাকে। ল্যাবগুলোতে সচরাচর এ টেস্ট সুবিধা থাকে না। যার কারণে এ ধরনের কোনো রোগী পাওয়া গেলে তৃতীয় কোনো ল্যাবে (যে ল্যাবে এই টেস্ট সুবিধা থাকে) রেফার করা হয়ে থাকে। এখন স্বাভাবিকভাবে ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে কোথাও রেফার করা হয়। তবে আমরা (এপিক হেলথ কেয়ার) এবার রেফারেল ল্যাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি।
বায়োসেফটি লেভেল–থ্রি সমৃদ্ধ এ ল্যাবে উচ্চ ঝুঁকির জীবাণু সংক্রমণ সংক্রান্ত রোগ নিরূপণের সকল সুবিধা থাকবে।
উদাহরণস্বরুপ সিটি স্ক্যান সুবিধা থাকলেও পেড সিটি স্ক্যান সুবিধা চট্টগ্রামের কোনো ল্যাবে নেই জানিয়ে টি এম হান্নান বলেন, এই পেড সিটি স্ক্যানের মেশিন বসানোর খরচ ২৫ কোটি টাকার কম নয়।
একটি টেস্ট করাতেও খরচ পড়ে ৫০ হাজার টাকার বেশি। আমাদের রেফারেল ল্যাবের সেবা চালু হলে এই পেড সিটি স্ক্যান সুবিধাও এখানে থাকবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এই রেফারেল ল্যাব চালুর বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান টিএম হান্নান।
এপিক হেলথ কেয়ার দ্বিতীয় বারের মতো ‘আইএসও অ্যাক্রিডিটেশন সনদ’ অর্জন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বন্দর নগরীতে ‘আইএসও অ্যাক্রিডিটেশন সনদ’ অর্জন করা একমাত্র ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ার।
রেফারেল ল্যাবের পাশাপাশি এবছর স্পাইরো–ফ্যানো–এফওটি কম্বো পরীক্ষা শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলেন, যা অ্যাজমা বা হাঁপানী, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত প্রয়োজন। আগে এসব রোগের ডায়গনস্টিক পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল ঢাকায় প্রেরণ করতে হতো।
এখন সেসব পরীক্ষা চট্টগ্রামে করা যাবে। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটিতে সকল ধরনের পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা সারা বছর ২৫ শতাংশ ছাড়ে সব ধরনের পরীক্ষার সুবিধা পাবেন বলে জানান এপিক হেলথ কেয়ারের ডিরেক্টর (বিজনেস ডেভলপমেন্ট) মো. জসীম উদ্দিন।
অন্যান্যের মাঝে এপিক হেলথ কেয়ারের ডিরেক্টর (অপারেশন) ডা. সাইফুদ্দীন মো. খালেদ, এজিএম (অপারেশন্স) ডা. মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন, এজিএম (এডমিন অ্যান্ড এইচ আর) মো. আরেক হোসেন, এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) সুমন রঞ্জন ভৌমিক, মো. আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার (এডমিন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট) বেনজির আহমেদ, ম্যানেজার (অপারেশন্স) ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কর্পোরেট বিজনেস এন্ড ব্রান্ড ম্যানেজম্যান্ট) জহির রায়হান প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।