রূপপুরের স্বপ্ন পূরণে বড় অগ্রগতি

বসল প্রথম পরমাণু চুল্লিপাত্র

| সোমবার , ১১ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিঅ্যাক্টর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ, এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লোশকিন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান রূপপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল যন্ত্র। এর ভেতরেই ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়া থেকে এই রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল খুলনার মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। তারপর তা নিয়ে যাওয়া হয় রূপপুরে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএইএ) নীতিমালা ও মান অনুসরণ করে সেটি এখন স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, রিঅ্যাক্টর স্থাপনের পর প্রকল্পের কাজ শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। প্রথম ইউনিটের ৫০ শতাংশ কাজ এ বছরেই শেষ হবে। সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।
রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬২ একর জমির উপর চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ সেখানে কাজ করছেন। দুই ইউনিট মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে জায়গা খুঁজছি : প্রধানমন্ত্রী