গল্পপাঠ ওয়েবজিনে একদিন আমি এক লেখকের পরপর চারটি গল্প পড়লাম। এবং আশ্চর্যের বিষয় চারটি গল্পের বিষয়বস্তু, গল্পের বয়ান, গল্পের শৈলী আমাকে এতটা আকৃষ্ট করেছে আমি তখন সেই গল্পগুলো প্রিন্ট করে বাসায় নিয়ে আসলাম। বাসায় এনে মনোযোগ দিয়ে আরও একবার পড়ি। আমি বুঝতে পারি না আমার এত ভালো লাগার কারণ কি! এই লেখকের নাম আমি এর আগে শুনিনি। এত ভালো যিনি লেখেন তার গল্প এতদিন কোথাও পড়িনি কেন? এরপরই একদিন সমকাল-এর কালের খেয়ায় এই লেখকের নাম দেখে এত ভালো লেগেছিল! তারও অনেক পরে একদিন সেই লেখকের সাথে ফেসবুকে আমার পরিচয় হয়, বন্ধুত্ব হয়, এবং পরবর্তীতে সেই সম্পর্কে আত্মার সংযোগ তৈরি হয়। তিনি শুধু গল্পকারই নন, নাট্যকারই নন, অভিনয় শিল্পীই নন, তিনি প্রচন্ডরকমের মানবিক মানুষ। দেশ, সমাজ, মানুষের ক্রান্তিকালে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে যতটুকু সোচ্চার হওয়া যায় তিনি তার পুরোটুকুই করেন। অন্যদের ভালোবাসারও দুর্বার ক্ষমতা তার। মুখে সব সময় ঝকঝকে দন্ত বিকশিত হাসিতে প্রাণোচ্ছল সেই মানুষটি হলেন গল্পকার, অভিনেত্রী, নাট্যকার রুমা মোদক। আমাদের প্রিয় রুমাদি। সদ্য পঞ্চাশে পা দিলেন। শুভেচ্ছা তাকে।
আলাপে গল্পে – রুমা মোদকের গল্পগ্রন্থ ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’
যে-গল্পে উঠে আসে দেশ, দেশের মানুষ, সমাজের চিত্র, সমাজের অসঙ্গতি, মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সাংসারিক টানাপোড়েন, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল, সময়ের ঘূর্ণি, মনস্তাত্ত্বিক সংকটভরা দিনলিপি সেই গল্পই তো মনের পিঞ্জরে বাসা বাঁধে বাবুই পাখির মতো। করোটিতে অবাধ পায়চারি করে গল্পের চরিত্ররা, তাদের দুঃখ, বেদনা, আনন্দ, ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে। হঠাৎ হঠাৎ সূক্ষ্ম খোঁচা দিয়ে জানান দেয় তোমার মনের বারান্দায় আমি হাঁটছি। তোমার ভেতর আমি আসন গেড়েছি। টের পাচ্ছ কি?
রুমা মোদকের গল্পগ্রন্থ ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’ পড়ার পর আমার সেরকম অনুভূতি হয়। প্রতিটা গল্পই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যময়। প্রতিটি গল্পে সমাজ, সংসার, দেশ, মাটির কথা, মনকে ভাবালু করে তোলে। তার গল্পের ভাষা শৈলীই তাকে অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা করে দেয়। রুমা মোদক ইতিমধ্যেই স্বতন্ত্র স্বর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রসঙ্গটি বিব্রতকর গল্পগ্রন্থটিতে সেই স্বতন্ত্র স্বর বিদ্যমান।
বইয়ের প্রথম গল্প ‘আঁধারে-আলোতে’। কোনো মানুষ খাটো হবে নাকি লম্বা, নাক বোঁচা নাকি টিকোলো, গায়ের রঙ তামাটে নাকি দুধে আলতা, হরিণীর মতো ডাগর-ডাগর চোখ নাকি ছোট ছোট ইঁদুর চোখ এসবে কিন্তু মানুষের নিজের কোনো হাত থাকে না। প্রকৃতি যার সাথে যেভাবে মন চায় রসিকতা করে অথচ এসব রসিকতার দায় ব্যক্তি মানুষটিকেই বয়ে বেড়াতে হয় আমৃত্যু।
আঁধারে-আলোতে গল্পেও আমরা প্রকৃতির সেই রসিকতার দেখা পাই। রাফাতের স্ত্রী নিজেই তার স্বামীভাগ্য নিয়ে যখন অতি মাত্রায় দ্বিধান্বিত থাকে, কেন তার এত এত খুঁত থাকা সত্ত্বেও তার স্বামী অন্যদের কাছে ঈর্ষণীয় ভালোবাসায় তাকে পরিপূর্ণ করে তুলছে,হঠাৎ তার ভাগ্য এত সুপ্রসন্ন হয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ কি বাঁ হাতে লাগানো সেই তাবিজটি, নাকি কোথাও মায়া রহিয়া গেলোর মতো অন্য কিছু…. সেই রহস্যের কূল-কিনারা করতে আমরাও কৌতূহলী হয়ে উঠি। নিশ্চয়ই রাফাতের স্ত্রী’র মধ্যে এমন কোনো বিষয় আছে যা এর আগে কোনো কেউ সাধারণ চোখে তা খেয়ালই করেনি। খেয়াল করলেও হয়তো গুরুত্ব দেয়নি। লেখক বলছেন, ‘যুবকটি তার নব পরিণীতা স্ত্রীর হাতে লাল টকটকে গোলাপটি তুলে দিয়ে বলে- তুমি আমার জীবন ধন্য করে দিয়েছ।’
খুব সাদামাটা একটা বাক্য। কিন্তু জীবন ধন্য করে দেয়ার গূঢ় রহস্যটি যখন উন্মোচন করি তখন যুবকের স্ত্রীর জন্য আরেক দফা মায়ায় সিক্ত হই। নিয়তি তার সরলতার সুযোগ নিয়ে এরকম প্রহসনের কূপে তাকে না ফেললেও কি পারতো না। আবার মনে হয়, মন্দ কি! একসময় যাদের চোখে গলগ্রহ ছিল সে, এখন অন্তত তাকে দেখে যে ঈর্ষায় তাদের চোখ টাটায় তা তো সে স্পষ্টই বুঝতে পারে। এটাই কি প্রকৃতির ব্যালেন্সিং। ঘরে স্ত্রী থাকার পরেও প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে প্রণয় চালিয়ে যাওয়া স্বামীর দ্বৈত সত্তায় হোঁচট খেলেও গল্পের ঠাস বুনোটের কারণেই গল্পটাকে ভালোবেসে গ্রহণ করতেই হয়।
‘তিনজনা’ গল্পটিও পদে-পদে নারী জীবনের প্রতিবন্ধকতার পাহাড় ডিঙ্গানোর চিত্র। এক যতই শিক্ষাদীক্ষায় নিজেকে একটা অবস্থানে নিয়ে যাও না কেন পুরুষশাসিত সমাজে নারী তুমি ভুলে যেও না তোমার চূড়া উঠায় না উঠায়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় পুরুষের ভূমিকা কতখানি! তোমাকে দু’কদম এগিয়ে নিতে পুরুষ যেমন বন্ধুর হাত বাড়ায় আবার পিছিয়ে দিতেও পুরুষ কেমন হ্যাঁচকা টান দিয়ে দেয় খুব সন্তর্পণে। গল্পে ঋতুর ভালো চাকরি করা সংসারী কলি আপার জীবন যাপনটা যেমন দেখা যায়, মেয়ের পরীক্ষার কথা ভেবে নেদারল্যান্ডসের অফিসিয়াল ট্যুর মিস করেন তিনি, কিন্তু ছোট ননদের বিয়েতে এটেন্ড করতেই হয়, মেয়ের পরীক্ষার তখন মাসখানেকও বাকি নেই। এই জায়গাটা তো মধ্যবিত্ত জীবনের স্বাভাবিক কিন্তু অন্তর্দহনের চিত্র। আবার একইভাবে মঞ্চে নাটক করা ঋতুর প্রতি তার প্রেমিক তপনের শ্লেষ, অবজ্ঞা নাকি সব ছাপিয়ে ঈর্ষাকাতর ছবি কেমন অসহায় করে তোলে আলো ঝলমলে ঋতুর প্রতিদিন। আর শ্যামলী নামের মেয়েটি প্রেমিকরূপী আসগর শয়তানের খপ্পরে পড়ে তিন বছর পাগলাগারদ ঘুরে আসার পরও এখনো মিথ্যা স্বপ্নে বিভোর থাকে। তিনজনের সামাজিক অবস্থানের ভিন্নতা থাকলেও নারী জীবনের বেদনায় তিনজনই একই সমান্তরালে দাঁড়িয়ে থাকেন।
‘অ-শিশুতোষ’ গল্পটি পড়তে কষ্ট হচ্ছিল খুব। গল্পটি পড়ে আমি আমার ভেতর নিষ্ফলা আর্তনাদ টের পাই। নিজের সন্তান মনে হচ্ছিল আকাশকে, নীরাকে, নিলয়কে। শিশুদের মনোজগতের আশ্চর্য ধারাকে আমরা মুখে মুখে স্বীকৃতি দিলেও তা যে আসলে মোটেও অন্তরে ঠাঁই দেই না সেই নির্মম বাস্তবতার দুঃসহ চিত্র আঁকেন লেখক। শিশুদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে লেখক বলে যান, ‘… মূলত কোনো কারণ ছাড়াই শিশুরা যে-কোনো কিছু বিশ্বাস করে। তারা ঠকলেও বিশ্বাস করে ঠকে, জিতলে বিশ্বাস করে জেতে। বিশ্বাস করার আগেও হিসাব করে না, পরেও করে না। জিতলেও করে না, হারলেও করে না। এমনকি বিশ্বাস করে তারা জীবন দেয়, তবু তারা বদলায় না।’ শিশুদের কখনো ফাঁকি দেয়া যায় না। যখনই কেউ শিশুদের ফাঁকি দিতে চায়, বুঝতে হবে তখনই মানবজীবনে নেমে আসে দুর্যোগ। শিশুরা লজ্জায় যেসব অশ্লীল, অভব্য কথা উচ্চারণ করে না, আমরা বড়রা নিজেদের স্বার্থের ব্যত্যয় ঘটলে তা বলে ফেলি ঢাকঢোল পিটিয়ে। কত অবিবেচক আমরা, তা নিজেদের অবিবেচনাপ্রসূত জ্ঞানে আমরা ঠাহরও করতে পারি না। অ-শিশুতোষ গল্পে প্রতিটি শিশুকে শারীরিকভাবে খুন করার আরও অনেক আগ থেকে তাদের মানসিক মৃত্যু হয়েছে। অবিশ্বস্ত পৃথিবীর কলুষতা তারা মৃত্যুর আগ থেকেই দেখে প্রতিদিন নিরবে মরেছে অনেকবার। শারীরিক মৃত্যু যেন তাদের প্রতিদিনকার মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই দিল আর আমাদের গালে কষে থাপ্পড় দিলো!
‘ছয় ফোঁড়ন’ গল্পটিতে মা, ভাই এবং পোয়াতি স্ত্রীকে বোন প্রণতির শ্বশুর-স্বামীর আপত্তি সত্ত্বেও তার ঘাড়ে ফেলে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা নগেন্দ্রনাথ এর যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন দেশের পরাধীন জীবনের চিত্র সময়কে ধূসর করে দেয়। বিধবা বোনকে নিজের কাছে আশ্রয় দেয়ার আকাঙ্ক্ষাও কেমন বাহুল্য হয়ে দেখা দেয় স্ত্রী, পুত্র এবং পুত্রবধূদের নিত্য মুখ ঝামটায়। ভাইয়ের গৃহে বোনের উপস্থিতিতে ভ্রাতৃবধূর ফোড়ন- ‘আপন মায়ে ভাত পায় না, সৎ মায়ে পাত বাড়ায়।’ সাংসারিক জীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েনের-এর চেয়ে স্পষ্ট চিত্র আর কি হতে পারে! আপাতদৃষ্টিতে আর্থিকভাবে সচ্ছল ভাইয়ের প্রাত্যহিক জীবনের দুর্দশা দেখে বোন প্রণতির প্রশ্নটায় যুদ্ধদিনের ভয়াবহতাকে আরেকবার অনুধাবন করি। ‘… কোন পরানে পোয়াতি বৌ, ল্যাংড়া মা আর পুরা পরিবারডারে থুইয়া সেই রাতে পলাইছিলা!’
‘বিজলী মার্কা সাবান এবং কালের পোস্ট মাস্টার’ গল্পটির বয়ন দক্ষতায় পুরুষ জগতের সহজাত মনোবৃত্তির থাবায় হোঁচট খেলেও রূপালী উড়াংদের ‘লইড়তে হইলে লইড়বো, মইরতে হইলে মইরবো’ স্লোগান নতুন জীবনের সঞ্জীবনী হয়ে দৃঢ়ভাবে সামনে দাঁড়ায়।
শিকড় উপড়ানোর যাতনা নিয়ে রচিত গল্প ‘একটি অতীত ছিল’। চাইলেই কি উপড়ানো যায় শিকড়? এত সহজ? লোকচক্ষুর আড়ালে মনের মনিকোঠায় যে শিকড় অহর্নিশ বেড়ে ওঠে কাঁটাতারের সীমানা সেই শিকড়ের মূলোৎপাটন করতে অক্ষম। শুধু কাঁটাতার কেন, এরচেয়েও ক্ষমতাধর কেউ চাইলেও সেই শিকড়ের বেড়ে ওঠায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার ক্ষমতা রাখে না।
সংখ্যালঘু শব্দটিই আপত্তিকর, যখন তা কেবল একটি মামুলি শব্দে আবদ্ধ না থেকে বরং কোনো জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী শব্দের সমার্থক হয়ে ওঠার ধৃষ্টতা দেখাতে চায়, তখন সে শব্দটিকেই ছুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে আমার। এই গল্পগ্রন্থের নাম গল্প ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’। তা আসলেই বিব্রতকর। নির্মমও। গল্পকার খুব কৌশলে আমাদেরকে একটি রক্ষণশীল আভিজাত্যপূর্ণ পারিবারিক গল্প বলেন। মোনা নামের মেয়েটি তার হবু শ্বশুর বাড়ি দেখে যাওয়ার বাসনা থেকে সমীরের সাথে তাদের বাড়ি ‘রাজলক্ষ্মী’তে বেড়াতে আসে। খুব ভালো বেড়াতে আসতেই পারে। হিন্দু পরিবারের সংস্কার, রক্ষণশীল আচারআচরণ দেখে পদে পদে থমকে যায় সে। কিন্তু তারপরও সমীরের সাথে বোঝাপড়ার চমৎকার জের ধরে বিষয়গুলো নিয়ে আর বেশি বিভ্রান্ত হতে দেয়না নিজেকে। কিন্তু প্যান্টি হারানোর বিব্রতকর প্রসঙ্গটি পরিকল্পনার বাইরে হঠাৎ ভাবে চলে আসায় আকস্মিক ঝড়ে বিপর্যস্ত মোনা, সমীরসহ রাজলক্ষ্মীর সদস্যরা। মোনার বিষাদভরা বিদায়ের পরে, বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ কর্ত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর কাছে ভৃত্য পার্বতীর পেন্টি চুরির কারণ শুনলে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে আমাদের অহংকারের মিনার। ‘দিদিমা গো! সেইবার ভোটের পরে নমশুদ্র পাড়ার নিয়তি সহ দুই-দুইটা মাইয়ারে ধইরা লইয়া গেলে মায়-বাপের লুঙ্গি ছিঁড়া পায়জামার নিচে পেঁচাইয়া পাটক্ষেতে লুকাইয়া রাখছে গো দিদি মা। আবার ভোট হইলে এইডা পইরা লুকামু গো দিদি মা…।’ আমাদের মুখোশসবকিছু এবং ভয়ংকর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন। ‘প্রসঙ্গটি বিব্রবতকর’ গল্পটি আমার বোধের জগতে বিশাল একটা ধাক্কা দেয়।
এই বইয়ে মোট গল্প আছে ১২ টি। একবিংশ পুরাণ, বেণীমাধবের বাড়ি, এটি হতে পারে একটি গল্প বা গদ্য, স্বপ্নদোষ, যে সন্ধ্যায় দ্রৌপদী এসেছিল। রুমা মোদকের প্রায় গল্পের শেষটায় এসে বারেবারে পাঠক চমকে ওঠে। পাঠকের মনোজগতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। পাঠক নতুন করে ভাবতে বসে পুরো গল্প নিয়ে, গল্পের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকা মানুষের প্রাত্যহিক যাপন নিয়ে। রুমা মোদক নতুন নতুন কৌশলে পাঠককে একটা লুপের মধ্যে ফেলে নিজের নতুন ভাবনায় আচ্ছন্ন হন। পাঠক কখনো তার গল্পের ভাষায় বুঁদ হয়ে থাকে। আবার কখনো গল্পের ভেতরের গল্পটাতে স্তব্ধ হয়ে যায়। কখনো গল্পের চরিত্রের সাথে একাত্ম হয়ে হন্যে হয়ে নিজের গল্পটা খুঁজে ফেরে।
জয়তু গল্পকার রুমা মোদক। আমি পাঠক বারবার আপনার গল্পের ঘোরে আচ্ছন্ন হতে চাই।
গল্পগ্রন্থ প্রসঙ্গটি বিব্রতকর প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী তৌহিন হাসান ও দীপেন ভট্টাচার্য।