রুমা ও থানচিতে আতঙ্ক কাটেনি

কেএনএফের ব্যাংক ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরো দুটি মামলা

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় কেএনএফ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। গতকাল শনিবার ভোরেও রুমা সড়কের মুরুঙ্গবাজার এলাকায় পাহাড়ি ঝিরিপথে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, থানচিআলীকদম সড়কের ডিমপাহাড় এলাকায় কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে বান্দরবানে কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি ও অর্থ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরো দুটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ৬টিতে। এর মধ্যে রুমায় ৪টি এবং থানচিতে ২টি। মামলার আসামি অজ্ঞাত।

থানচি উপজেলার বাসিন্দা মংব্রাচিং মারমা ও জসিম উদ্দিন বলেন, থানচি বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষজনের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাজারের দোকানপাট খুললেও লোকজনের উপস্থিতি কম। সন্ধ্যা নামলে মানুষজন সবকিছু গুটিয়ে নেয়। পর্যটকদের কোনো উপস্থিতি নেই চার দিন ধরে। সরগরম থানচি বাজার যেন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। কোনো শব্দ শুনলেই মনে হচ্ছে গুলির শব্দ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, থানচিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। হামলার ঘটনায় থানচিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোসহ থানচি বাজার ও আশপাশের এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রুমা বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম দাস ও সোহরাব বলেন, রুমা জুড়ে কেএনএফের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষজন। আগে রুমা বাজারে রাত ১১টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকত। বর্তমানে সন্ধ্যা ৭টার পর দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ী। বেচাকেনাও কমে গেছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, ব্যাংক ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় ৪টি মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও আতঙ্ক কাটেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বম জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের নামে কেএনএফ রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার এবং অপহরণ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায় করছে। রুমা উপজেলার মুন্নুম পাড়া, আত্তা পাড়া, বেতেলপাড়া, রনিনপাড়া ঘিরে কেএনএফ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সবার সঙ্গে ঈদ না করলে ঈদের মতো লাগে না’
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত