বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭ জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ আসামিদের বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আসামিরা হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান নুন নোয়াম (৩৩), লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লাল মিন বম (৫৬) ও ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)। এরা সবাই রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা।
বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, আইনশৃক্সখলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগ শুনে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যৌথ বাহিনী জানায়, রুমা ও থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় সাঁড়াশি অভিযানে চালাচ্ছে। অভিযানে সোমবার রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকা থেকে কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান নুন নোয়ামসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, রুমা ও থানচির ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।