চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, করোনার কারণে এদেশে গরিবের সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেখানে শতকরা ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল করোনার কারণে আরো ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে। মধ্যবিত্তরা নিম্নমধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। আজকে আয় কমে গেছে কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আজকে বহু মানুষ অনাহারে থাকে। তিনি বলেন, সরকার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। এই সরকার জানে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেনি। এ কারণে সরকার টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার তা করেছে। বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এর লাগাম টেনে না ধরে বরং এই দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে উৎসাহিত করছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত চাল ডাল থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত শুক্রবার সকালে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও বাজার সিন্ডিকেটসহ আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনসচেতনতা তৈরি করার লক্ষে সদরঘাট থানা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি কদমতলী এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, সদরঘাট থানা বিএনপি নেতা ওমর ফারুক রুবেল, কাওছার বাবু, পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, নগর যুবদল নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া, সুলতান মাহমুদ সুমন, আনোয়ার হোসেন, আবদুল মান্নান, সদরঘাট থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইসসাইল, মোহাম্মদ রাসেদ, আনোয়ারুল আবেদিন মুন্না, মো. তসলিম, আইয়ুব খান, নূর খান, রবিউল হোসেন, সেলিম সম্রাট, আনোয়ারুল মুরাদ, মো. জাহাঙ্গীর, মুকবুল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন সুমন, মো. নাজিম, মো. রেদওয়ান, মো. রিয়াজ, মো. হিমু, মো. মনজু প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।