পটিয়ার হাইদগাঁও গ্রামে যৌতুকের কারণে মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন কলেজ ছাত্রী রীমার আত্মহত্যা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রীমার পিতা মনির আহমদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রীমার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রীমার পিতা মনির আহমদ বলেন, বরযাত্রী আপ্যায়ন বাবদ ২ লক্ষ টাকা মোরশেদের খালাতো ভাই আসিফ ও তার পিতা মফিজুর রহমান সমাজের মাতব্বর মোক্তাৎর হোসেনের উপস্থিতিতে গ্রহণ করেন। বিয়ের ফর্দে ফার্নিচারের কথা উল্লেখ না থাকলেও মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন ফার্নিচার দাবি করেন। হঠাৎ করে ফার্নিচার চাওয়ায় আমরা কয়েকদিন পর দিব বলে জানাই। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে মোরশেদ নিজেই রীমাকে ফোন করে ফার্নিচারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মানসিক টর্চার সহ্য করতে না পেরে রীমা সেদিন তার শয়নকক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে এ ঘটনায় স্বামী মোরশেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় রীমার পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া যৌতুকের ২ লক্ষ টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য নানা ‘মিথ্যা’ তথ্য ছড়াচ্ছে তারা। আমরা আমাদের টাকা ফেরতসহ আমার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারী মোরশেদের ফাঁসি চাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে তার পিতামাতারও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রীমার বাবা মনির আহমদ, মা সাজিয়া বেগম, চাচা শের আহমদ, চাচাতো ভাই সুমন, সমাজের সর্দার মোক্তার হোসেন ও বড় ভাই মো. আজগর প্রমুখ।