মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে একাই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। রস্টন চেজের উইকেটটি নিয়েই উদযাপনে মাতেন। শোকরিয়া জানান সিজদার মাধ্যমে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ৫ উইকেটের সবকটিই শিকার করেন রিশাদ। ২০৮ রান তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান যোগ করে তারা। ২৭ রান করা আলিক আথানজেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ক্যারিবিয়ান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই ক্যারিবিয়ানদের রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। তিনে নামা কেসি কার্টি দেখে–শুনে খেলছিলেন, তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২০তম ওভারে রিশাদের বলে স্লিপে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। নিজের পরের ওভারে ফিরে আরো দুই উইকেট পান রিশাদ। ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্যান্ডন কিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে যায়। উইকেটকিপার সোহান দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল গ্লাভসবন্দি করেন। চতুর্থ বলে ফেরান শারেফান রাদারফোর্ডকে। সোহানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ডাক খেয়েছেন তিনি। ২৪তম ওভারে আবারো উইকেটের দেখা পান রিশাদ। এবার তার শিকার রোস্টন চেজ। ৬ রান করে চেজ ফিরলে ৯২ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। আর এই ৫ উইকেটের সবকটি গেছে রিশাদের ঝুলিতে। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। পরে শেষ ব্যাটার সিলেসকে অধিনায়ক মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে শেষ উইকেটটিও লাভ করেন রিশাদ। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৯ ওভার বল করে ৩৫ রানে ৬ উইকেট। ১১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এর আগে সেরা বোলিং ছিল ৩৭ রানে ২ উইকেট শিকার। ২০২৩ সালের মার্চে টি–টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় রিশাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশের জার্সিতে ১১টি ওয়ানডে ও ৫০টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন রিশাদ। কিন্তু কোন ম্যাচেই ৩ এর বেশি উইকেট শিকার করতে পারেননি তিনি। ওয়ানডেতে ৩৭ রানে ২ এবং টি–টোয়েন্টিতে ১৮ রানে ৩ উইকেট রিশাদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ডান হাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন রিশাদ। এর আগে বাংলাদেশের ডান–হাতি স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ফিগার ছিল রাজিন সালেহের। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪.৩ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রাজিন।