রিপনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টানা পঞ্চম জয় আবাহনীর

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বিভিন্ন দলে ঢাকার সেরা সব ক্রিকেটাররা খেলছেন। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীতেও রয়েছেন একাধিক ঢাকার ক্রিকেটার। কিন্তু আলো ছড়াচ্ছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে দলটির অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রিপন গতকালও খেললেন ঝড়ো ইনিংস। আর তারই ব্যাটে ভর করে লিগে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল আবাহনী। আকাশীনীল জার্সিধারীদের যেন থামানোই যাচ্ছে না। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আবাহনী ৬২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থাকে। আর দলের এই জয়ে সবচাইতে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক রিপন ৬৩ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে।

অথচ টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর শুরুটা ছিল একেবারেই বিবর্ণ। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আরেক ওপেনার ফিরেছেন ১১ রানে। সেখান থেকে অবশ্য দিপু এবং শোয়েব মিলে ৭২ রান যোগ করেন। কিন্তু মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ফিরেন দুজনই। দিপু ফিরেন ৫০ বলে ৪৩ রান করে আর শোয়েব ফিরেন ৬৩ বলে ৩০ রান করে। সদ্য বিপিএল খেলা শেষে প্রথমবার চট্টগ্রাম লিগে খেলতে নামা ইরফান শুক্কুর ৭ রান করে ফিরলে আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০০। অনেকটাই তখন চাপে দল। ঠিক তখনই হাল ধরেন রিপন। সাথে পেয়েছিলেন ইমরানকে। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। তবে রিপন ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। দুজন মিলে ১২৫ রান যোগ করেন। ৭২ বলে ৫৭ রান করা ইমরানকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন নিহাদুজ্জামান।

পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন আবু বক্কর জীবন। এরপর বেশিদূর এগুতে পারেননি রিপনও। মিস করেছেন সেঞ্চুরিটা। তবে দলকে ২৩১ রানে রেখে ফিরে আসার আগে করেন ৬৩ বলে ৭৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। আর এই ইনিংসের পথে তিনি মারেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। বন্দর দলের বোলাররা রিপনের ঝড় থামাতে পারলেও থামাতে পারেনি মহিউদ্দিনের টর্নেডো। তার ৯ বলে ২৪ রানের সুবাদে আবাহনী সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। ৩টি ছক্কা মারেন মহিউদ্দিন। ৫ বলে ১১ রান করেন রাকিবুল হাসান। শেষ ৫ ওভারে ১১ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। বন্দর দলের ইনজামাম নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আরিফ আহমেদ এবং নিহাদুজ্জামান।

২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালই করেছিল বন্দর ক্রীড়া সংস্থা। দুই ওপেনার নাজিম উদ্দিন সাব্বির এবং সাব্বির হোসেন মিলে যোগ করেন ৭০ রান। কিন্তু পরপর দুই ওভারে মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফিরেন দুজনই। নাজিম উদ্দিন সাব্বির করেন ২৬ রান এবং সাব্বির হোসেন করেন ৩৮ রান। এরপর মামুন এবং আবদুল কাদের রাসেল যোগ করেন ৪৯ রান। ২৯ রান করে ফিরেন রাসেল। এরপর ৩২ রান করে আউট হন মামুন। ম্যাচটা তখনই কঠিন হয়ে যায় বন্দর ক্রীড়া সংস্থার জন্য। যদিও ইনজামাম, মঈন খান এবং রতন দাশ চেষ্টা করছিলেন দলকে লড়াইয়ে রাখার। কিন্তু রাকিবুল এবং জীবন মিলে তা হতে দেয়নি। এই তিনজন ফিরেছেন যথাক্রমে ১৩, ২৯ এবং ১৫ রান করে। পরের ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেননি আবাহনীর বোলারদের সামনে। ফলে ২০৩ রানে অল আউট হয়ে যায় বন্দর ক্রীড়া সংস্থা। আর তাতেই বড় ব্যবধানে পঞ্চম জয় নিশ্চিত হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর। চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু বক্কর জীবন এবং রাকিবুল হাসান। ২টি উইকেট নিয়েছেন শোয়েব।

আজকের খেলা : শহীদ শাহজাহান সংঘ বনাম পাইরেটস অব চিটাগাং।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌবাহিনীর বার্ষিক হকি প্রতিযোগিতায় কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৩.৮৪ কোটি টাকা