রিজার্ভ সংকটের জন্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে তার জন্য বৈশ্বিক তেল রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে তেল কোম্পানিগুলো ১৪ বিলিয়ন ডলার ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।’ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস আয়োজিত ‘আনপ্যাকিং দ্যা ইকোনোমিক মেনিফেস্টো অব দ্যা আওয়ামী লীগ; ট্রেন্ডস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর টুমোরোস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বক্তব্য দেন। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয় জানিয়ে তৌফিক–ই–ইলাহী বলেন, ‘এখানে একটি ডাকাতি হয়েছে। আমি হিসাব করে দেখেছি, সমস্ত তেল কোম্পানিগুলো গত তিন বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ‘ডাকাতি’ করেছে।’ যুদ্ধ শুরুর আগে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৬০ ডলারের ঘরে। এক পর্যায়ে তা ১৩০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে অবশ্য দাম কমে আসে। এখন ৮০ ডলারের ঘরে উঠানামা করছে। তবে ডলার সংকটের পর বাংলাদেশের মুদ্রা মান হারানোর পর দর কমার সুবিধা আসলে ততটা বেশি পায়নি বাংলাদেশ। কারণ, এই দুই বছরে টাকা দর হারিয়েছে ২০ শতাংশের মতো।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘রিজার্ভ থেকে এ পরিমাণ ডলার চলে যাওয়ায় সংকটটা তৈরি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে সমস্যার যে কারণগুলো বলা হচ্ছে তা তাত্ত্বিক দিক থেকে আসছে।’ এ পরিমাণ ডলার চলে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা হারায়, বৈদেশিক বাণিজ্যর চলতি হিসাব ঘাটতিতে পড়ে বলেও মনে করেন তিনি।