কাতারে ফেবারিট হয়ে আসা আর্জেন্টিনা ও জার্মানি নিজেদের গ্রুপ ম্যাচে ‘সহজ প্রতিপক্ষের’ বিপক্ষে পা হড়কেছে। সব আলো তাই ছিল অন্য ফেবারিট ব্রাজিলের ওপর। তারা প্রথমার্ধে হতাশ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্লিসনের দুর্দান্ত দুই গোলে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে।
কাতার বিশ্বকাপের পিঠে ‘অঘটনের’ তকমা। অন্যদিকে ব্রাজিলের কাঁধে প্রত্যাশার পারদ। দুই চাপ মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক কৌশলে একাদশ সাজান ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে প্রথমার্ধে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি তারায় ভরা দল। গোল শূন্য সমতায় শেষ করে। যদিও গোল হওয়ার মতো সহজ দুটি সুযোগ মিস করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে রাফিনহা একেবারের ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া বল জালে পাঠাতে পারেননি। ৪১ মিনিটে ভিনিসিয়াস সামনে কেবল গোলরক্ষককে পেয়েও পোস্টে শট নিতে পারেননি। প্রথমার্ধে সেলেকাওদের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও ধাপ বাড়ায় ব্রাজিল। শুরুতেই সুযোগ হারায় রাফিনহা। তবে তারা ত্রস্ত করে রাখেন সার্বিয়ার রক্ষণভাগ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রোর নেওয়া জোরালো শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। ৬৩ মিনিটে জুজু কাটে ব্রাজিলের। ভিনিসিয়াস জোরের ওপর বক্স থেকে গোলে শট নেন। গোলরক্ষক ওই শট ফেরালেও রিচার্লিসনের নেওয়া শট ফেরাতে পারেননি।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে রির্চালি তার ও দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন। এবারও তার গোলের কারিগর ভিনিসিয়াস। তিনি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ঠিক মাঝখানে থাকা রিচার্লিকে পাস দেন। ওই বল ধরে তিনি দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে পাঠিয়ে ব্রাজিল শিবিরে উল্লাসের জোয়ার আনেন।
পরের সময়টাও আক্রমণে আক্রমণে সার্বিয়ার রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলে ব্রাজিল। ম্যাচের ৮১ মিনিটে কাসিমিরো বক্সের বাইরে থেকে মাপা শেট নেন। কিন্তু এবারও তার শট লাগে ক্রস বারে। রদ্রিগো একটু পরেই ভালো একটা শট নিলে সার্বিয়ান গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দেন। যোগ করা সময়ে রদ্রিগোর আরও একটি ভালো শট যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। সব মিলিয়ে শেষ ৪৫ মিনিট মন কাড়া ফুটবল খেলেছে সেলেকাওরা।