পটিয়া আদালতে দুই বছরের সাজার রায় ঘোষণার পর আজগর আলী (৪০) নামে মাদক মামলার এক আসামি কাঠগড়ায় অসুস্থতা বোধ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আসামি আজগর অসুস্থতা বোধ করলে কাঠগড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজগর আলী পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন শফিক চেয়ারম্যানের বাড়ির অধিবাসী ও ওই এলাকার ফজল আহমেদের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুন মাসে পটিয়া থানায় দায়ের হওয়া একটি মাদক মামলার আসামি আজগর।মলাটির তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে বিচার কার্যক্রম শুরু করে আদালত। পটিয়া আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে গতকাল রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি আজগর। আদালত রায়ে আজগরকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ জানান, আজগরকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার মধ্যে বেশ অস্থিরতা ও বুকে ব্যথা অনুভব হচ্ছিল। তাকে ইসিজিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আজগর আলীর চাচাতো ভাই জামাল উদ্দীন জানান, আজগরের স্ত্রী ও ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, রায় ঘোষণা পর অসুস্থ হয়ে আসামির মৃত্যুর কথা শুনেছি। তার লাশ চমেক হাসপাতালে রয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।