চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে বলেন, আমি জনগণের হাঁটা চলার পথ জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে চাই। জনগণের সম্পদ কারও দখল করার অধিকার নেই। যতোদিন দায়িত্বে আছি ততোদিন আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। হকার হোক আর যতো প্রভাবশালীই হোক রাস্তা কিংবা ফুটপাত কোনভাবেই দখল করতে দেওয়া হবে না। আমার এ উদ্যোগ চলমান থাকবে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর অলংকার মোড় হতে তাসফিয়া পর্যন্ত পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিক পরিদর্শনকালে প্রশাসক নগরবাসীর উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন। এসময় অলংকার মোড়ের ফুটপাত দখল করে সারিবদ্ধ দোকানগুলো তাৎক্ষণিক তুলে দেন তিনি। চলতি পথে ফুটপাত দখল করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আইনে পেলে তিল পরিমাণ জায়গাও ছাড় দেয়া হবে না। দখলবাজদের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স নীতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অবৈধ দখল এবং কর্পোরেশনের ভাগাড় থেকে উচ্ছিষ্ট মধু আহরণকারী মৌমাছিদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ তৎপরতা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাকালীন সময়ে পূর্বে উচ্ছেদকৃত ফুটপাত আবার সেই আগের মতো দখলে যাচ্ছে। এবিষয়ে আমার কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই তথ্য আসছে। তাই আমরা তাদের সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছি। নিউমার্কেট এলাকার পরিস্থিতি এতোদিন আপনারা দেখেছেন। আর এখন বদলে গেছে নগরীর চিরচেনা সেই ফুটপাতের চেহারা। থেমেছে হকারদের দৌরাত্ম্য। চলাচলের পথে নেই ভাসমান দোকানপাট। হকারদের শৃংখলিত করার কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে রাস্তাঘাটে। জনগণ এখন নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারছে। স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না কেউ। এমন অবস্থায় ফিরেছে নগরী। আমি মনে করি প্রচেষ্টা আর নাগররিক মূল্যবোধ থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বাসযোগ্য নগরী রেখে যেতে পারবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব ও বিপ্লব দাশ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।