চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সততার সাথে আমি কাজ করতে চাই। আমাদের এখানে অনেক বাজেট আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট রয়ে গেছে। মাত্র ৫৬২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। আরো প্রায় ১৯শ কোটি টাকা আছে। কাজ করলে, কাজ করা যাবে। আমি সৎ মানুষের খোঁজ করছি। যারা সত্যিকার অর্থে সুন্দর একটি রাস্তা করতে পারবে, কোন ধরনের চুরি না করে, দুর্নীতি না করে। তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে কন্ট্রাক্টর ও ঠিকাদার যারা আছে, ইঞ্জিনিয়ারদের বলে দিয়েছি। যে ৫৬২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে, ঐ সমস্ত রাস্তার মাপ লেপটেস্ট করে আমাকে জানানোর জন্য। যদি কোন ধরনের সেখানে মানের ব্যাপারে কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, অবশ্যই আমি বলেছি তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি গতকাল নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে আহমেদুর রহমান স্মৃতি সংসদের গণসংবর্ধনা এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০ হাজার বিনের (ময়লার ঝুড়ি) অর্ডার দিয়েছি। প্রতিটি দোকানে বিন দেব। যদি কেউ বিনে ময়লা না ফেলে রাস্তায় ফেললে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব। আমি আরো বিনের অর্ডার দেব। সিটি কর্পোরেশনের দুইটা গাড়ি স্ট্যান্ডবাই রেখেছি। সেখানে ইট বালু পাথর ও বিটুমিন রাখা আছে। আপনারা রাস্তার কোথাও যদি খানা খন্দক দেখতে পান, তা অবশ্যই জানাবেন। সাথে সাথে লোক প্রস্তুত, তারা গিয়ে কাজ করে দেবে। আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে মনিটরিং করবেন। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০ থেকে ৬০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে, তাদেরকে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা বেতন দিত, বাকি টাকা তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলদের পকেটে যেত। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে পাবে। কিন্তু কাজ করতে হবে। কাজ না করলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম ও ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান উদ্দিনের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সদস্য নাছির উদ্দীন, মো. আরশাদুল আলম সেলিম, বিএনপি নেতা সিরাজুল হক, নগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দার, একেএম শহিদুল্লাহ শাহজাহান, আবদুর রহিম, আমিন মাহমুদ, ইব্রাহিম বাচ্চু, সালাহ উদ্দিন কায়ছার লাবু, আবদুল হালিম বাবলু, শেখ আলাউদ্দিন, খোরশেদ আলম, আবদুল কাদের, মনসুর সওদাগর, আবদুল হালিম, মো. মুজিব, আরিফুল ইসলাম ডিউক, জিয়াউল হক মিন্টু, শেখ কামাল আলম, মো. ফারুক, মো. সেলিম, ইসমাইল হোসেন লেদু, জাহেদ নূর জিতু, মো. সোহেল, জকির হোসেন, জাবেদুল হক, সাদ্দামুল হক, শফিউল বশর সাজু, মো. জাহেদ, রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
বাদে ফজর ফালাহ গাজী মসজিদের ডা. শাহাদাত হোসেনের পিতা আহমেদুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা শেষে মেজবানের আয়োজন করা হয়।